অন্ত্যেষ্টি
-জয়া গুহ
অন্ধকারে ছলাৎছল জল আর ফিরে আসা নূপুর একত্রে সাবধানতার বীজমন্ত্র উচ্চারণে
যারা ছিল তারা আর নেই
নদী-জমিনে গল্প থেকে গেছে
কারা কবে ভালোবেসেছিল
ও পাড়ার নটবর এ পাড়ার বিধবা হৈমবতী একসাথে ডুবে মরেছিল.. তার
খাইরুল এর চাচী নাও উঠিয়ে প্রথম নাও-বাওয়া শিখল.. তার
মাঠের কাজ সারতে ভুটভুটি চেপে কিছুটা,বাকিটা হেটেই
পঁচাত্তর নম্বর লাটে যেতো আমিনা-মকবুল
ফেরার পথে ফেরিঘাটের পাশে দর্মার দোকানে খেয়ে নিত, বাটা মাছের ঝাল আর পোস্ত
যার মধ্যে পোস্ত উচ্চারণে আর ফোড়নে
ওষধির মত সংরক্ষণ শিখে আমাদের ভালোবাসা, অরুণাভ
এর চেয়ে বেশী,ভালোবাসাবাসি লেখেনি কোথাও কোনো খসড়ায়
অরুণাভ! আজ পৃথিবীটা আমার ক্রমশ বড়ো হয়ে আসছে
আমি কতদূর দেখছি,কত আগে মাপছি
ভোর হতেই দেখলাম বাড়ির উঠোনে মেলা লোক জমা
কেউ কানাঘুষো, কেউ চোখে জল
কেবল নিজেকে খুঁজে পাচ্ছি না কোত্থাও
যেমনটা তোমার শরীরে মিশিয়ে নিয়ে মনে হয়েছিল, ঠিক তেমনটাই
ও কে! ওরা কারা!
তুলসীতলায় অবিকল আমার মত
চোখ বোজা,চন্দনে, ধূপে, ফুলে সমারোহ
অরুণাভ! এত আগুন! অথচ আমি শুদ্ধ হলাম কই?
(ছবিঃ গোপাল মহান)
No comments:
Post a Comment