Thursday 19 September 2013

আশ্বিনের কবিতা ১৭




প্রতিবেদন
- রমিত দে

রান্না ধুতে গিয়ে
একটা মানুষ
 গোটা বাড়ি জলের মধ্যে রেখেছে ।
 নাড়া দাও, কাদায় বুট ভিজিয়ে
 জ্বরে নামুক খাবার টেবিল,
         খোসায় নাকি খালি পায়ে আনাজ এসেছে

তরল চালাকি ধরে ফেলে সাঁতার কাটছে
         আর একটা মানুষ

তার দরজায় লেখা: ঘুমের ভেতর সুদীর্ঘ জেগে থাকো
এক রাত্রে ঘুমিয়ে পড়ার আগে

ঘুম জলের ওপর ঘুরছে ।
জল ঘুমের নিচে ঘনত্ব খুঁজছে ।
তাড়া খেয়ে খেয়ে শীতকাল অবধি কারও গা ঘামছে
কেউ জলকে দুকামড় দিয়ে
             ঐখানে রেখে যাচ্ছে জাল নামে !
ঢেউ দিচ্ছে না কেউ
ডুবে যাওয়ার ভেতর রয়ে যাচ্ছে একটা ফাতনা

কেবল মেঝের জন্য মাটি তুলছে কেঁচো
আর হাসপাতাল ধরে ধরে মাসখানেক ছুটি নিচ্ছে ইঁট

ওই যে ফুটো মশারি
জল ঢুকছে
জল ঢুকছে
স্বাস্থ্যে ফেটে পড়ছে নদীর ব্লাউজ


আশ্বিনের কবিতা ১৬





আয়নামহলের টেক্সটগুচ্ছ 
               -সোমতীর্থ নন্দী


 ৫
আমার মৃত্যুর থেকে কয়েক পা দূর
ভরে আছে অলীক দরজায়
প্রতিটি দরজাই নয়নমোহন
প্রতি দরজাই তুমি
তোমার জারজ ছায়ার স্নেহে
বেড়ে ওঠা দিন, আকুলি বিকুলি
রাত, যেন পালাবার পথ পায়না...

সমস্ত আয়নার জনক পথের প্রসব বেদন
সমস্ত নিরবিচ্ছিন্ন আলো তার কোমর সাজায়
গোধূলির জলজ বুনট মেখে উঠে আসা হে মাতাল শিশু
গাছের নিভৃত প্রতীক্ষা, আমার বাঁধন জুড়ে ঘুরে আসছ বলে
তোমার পুঁজ রক্ত টের পাই, আমার বাঁড়ার তলায় বেড়ে উঠেছে...


আশ্বিনের কবিতা ১৫



ছদ্মবেশ
-রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ

শুকিয়ে যাওয়া ধোঁয়ায়
মনখারাপের ছদ্মবেশ ।

কৃষ্ণচূড়ার গায়ে প্রতারনায়
মমতা খুলে বসে ক্রোড়পএ
দুখ যেন চিরহরিতের মতো ।

ভীত মেঘে
চোখ বুঝে চ্যাটিং
বদলে যাবে কক্ষপথের চিহ্ন ।



আশ্বিনের কবিতা ১৪



আত্মসমাহিত আদাড়-পাঁদাড়
                    -ঋপণ আর্য

এক। 
জটিল তবু অপছন্দের নয়। মুক্তির একদা। একথোকে চবকায়। 
কীসের যে ভয় অনেকেই বুঝতে পারি না! বুঝতে পারি, থাকাটুকুও
 চিন্তিত না-থাকায়। মায়াটানে প্রকম্পন। ভ্রান্তির বশে ব্যয় হচ্ছি এখনও একে একে! ভ্রান্তির ব্যয় বশে এল
 না তবু! বিক্রেতার বিক্রিতে ধাতুগত ধাঁধাঁ। ক্রেতা আমরা ঝুঁকে, ধলতাকে সেইথেকে মীমাংসা 
ভেবে চলেছি...

দুই। 
খাট দেখে তুমিও চমকালে। পায়ের পাতা ছাড়াতে না ছাড়াতে খাটের পাতা! মেঝেতে বসলেই টেবিল হয়ে
 যাচ্ছে! এই যেমন তুমি এখন টেবিলে শুয়ে আছ। তোমাকে পড়তে পারছি না। মশার উপার্জন। কায়দাদুরস্ত। 
মশারি টাঙালেই টেবিলটা ফের খাট হয়ে যাবে।


আশ্বিনের কবিতা ১৩



অবসিডিয়ঁ ছুরির সামনে
                       -প্রদীপ চক্রবর্তী

এক/
পাতার স্থপতি কাকতাড়ুয়া ...ইতিউতি ঝালর দোলাচ্ছে
ভুক করে ফাতনা ডোবে, উঠে আসে পাখির মিড়িক
বাইনোকুলার নিয়ে দূর ধূসর জলে একটাও নৌকো দেখা গেল না...

ঘর অন্ধকার। জানলা কেবল খোলা আর ব্যক্তিগত
হাওয়া যা শরীর শুধু সামান্য মেখে নেয়...
শব্দ বলতে---হলুদ ফড়িং
দুব্বো ঘাসের ওপর বসে থাকার...

পূর্বাঙ্গনা ঊষাটির লাল আঁচলের দিকে অপলক।
তাকিয়ে দেখি লাট খাচ্ছে আমার লেখার পাতা...

ভেবেছিলাম পেখম থেকে
একটা পালক সরিয়ে রেখে হারিয়ে যাব...
কিন্তু পাখি কই?

নিদ্রাতুর কোঠাবাড়ি ,রেওয়াজে বসেছে পাখির গহরজান
সে আর তোমাকে কোনও সুযোগ দেবে না...

কে তুমি? শুধুই শব্দ?...
নির্জ্ঞানে থিতিয়ে গোলকধাঁধায় দিকদিশাহীন
ঘুরতে ঘুরতে জেরবার

ভুক করে ফাৎনা ডোবে
দু জোড়া শরীর নিয়ে
ছোট পিঁপড়ে বড় পিঁপড়ে
চিনির দানা মনে করে ঠেলতে থাকে সব...

দুই/
এখন সব কিছুই খাঁচা। মিহি ভুলো জলছাপে জড়ানো ত্বকের আগ্রহ
ক্রমাগত কৃষ্ণচূড়ার গাঢ় রঙ আর কাঁটাতার আর অনিকেত কস্তূরী।
 আর অকারণ খুঁজে ফেরা খসখসে কাগজ তুল্য তীব্র শরীর

নিমেষে নিমেষে চিড়। স্পর্শ অরাজকতা। যেন খোঁচা না লাগে...
মুহূর্ত লাগে...
কয়েকটা কদমা এবং পাঁপরভাজা। মুড়কি, মুড়ি, তিলেখাজা।
মেলার মাঠে নাগরদোলা ঘুরছে বনবন...
                                       তার হাত...

আর বৃষ্টি এলেই এতটা স্বাভাবিক যতবার খোলাচুলে সে, ততবারই
হাতের সাহস ভেসে যায়।
কেবল একটা অন্যরকম দড়ি আমার...
কলসি আমার...
               মরণ...



আশ্বিনের কবিতা ১২



সংশয় পড়ে আছে
           -বেবী সাউ

পথ চিনবে বলে
পা ফেলেছিল যে পাখি,
তার পালক পুড়ে গ্যাছে

হোর্ডিং এর দিকে তাকিয়ে শহরের দুরুদুরু বুক
ফুটপাথ ঘিরে আঁশটে গন্ধ
পা ছাপ মেঘরক্তরঙে

সপাৎ সুড়ুৎ শব্দ শিখে নিয়েছে দিন আর রাত


Wednesday 18 September 2013

আশ্বিনের কবিতা ১১



তেরো নম্বর আপেল রোড তুমি
                    -অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধ্যায়

তোমাকে দেখতে দিচ্ছি যতদূর
ভালোবাসছি দুরবীন ঘেঁষা
আবার কোপারনিকাস
গান খুলছেন
বাজছে...
এঁটো হাতে তোমাকে
ধরবেন কি করে?
ভালোবাসব
ক্রমশ ন্যাশানাল হাইওয়ে
রজস্বলা ট্রাভেলগ
(তোমার)
ওয়েট করছে

আশ্বিনের কবিতা ১০



ফিল্ম
   -সুবীর সরকার

বাধ্যত বসিয়েছি
এহেন ঘাসের ঝোপ
দূরে কোথাও বৃষ্টি
পৃষ্ঠা ওল্টানোর
        শব্দ
গোপনে হাসছেন
মদতদাতা

আশ্বিনের কবিতা ৯




বৃষ্টি
-ইন্দ্রনীল ঘোষ

বৃষ্টির ভিতর সেই নাতিশীতোষ্ণ কমা,
                যা আমি কবিতায় দিলাম
কবিতা ঘুমিয়ে পড়লো
দূরের ছুটিতে সেই ঘুমের দেয়ালা
                যা আমি কবিতায় দিলাম

ছুটিতে মানুষ জমছে    মানুষের নাতিশীতোষ্ণ উঠোন
যেখানে সন্ধে হবে একটু পর ­
হঠাৎ অন্ধকারে আলো জ্বাললে, পৃথিবী মনে হবে...

আশ্বিনের কবিতা ৮



আরশিনগর
-দেবব্রত কর বিশ্বাস

একটা দরজা বন্ধ।
আরেকটা, চিরকাল
          খোলাই পড়ে থাকে...

ভিতরে, আর একটি ঘর।
দরজা নেই। জানালাগুলো
           দেওয়াল হয়ে আছে।

যেভাবে,
ঘুমের ভিতরে ঘুম, স্বপ্ন হয়ে যায়...

আশ্বিনের কবিতা ৭



ধূপঝোরা
-তপতী বাগচী

রাতের সমস্ত শব্দে
তুমি চলে আসো
চোখে চোখে তাকানো বাইসন
 নিসর্গ আরো গভীর
 ঘন
 নেশার ভিতর

নদীর শরীর   জানে
কেন রাত্রিজল
পেরিয়ে যাচ্ছ
ঘুম পায়ে
পেরিয়ে যাচ্ছ চাঁদ
ষোলোকলা চিরে
খুলে যাচ্ছে জলের পাপড়ি
গুঁড়ো গুঁড়ো আলোবীজ
পুড়েছে নিভেছে
গাছের পাতায় ডালে
পায়ের তলাতে
কতটা অপেক্ষা
জমে আছে
মৃত্যু হয়ে
মিশকালো  হয়ে...

আশ্বিনের কবিতা ৬



মন ত্র তন ত্র
-সব্যসাচী হাজরা

রমনা ও রুবীর উষ্ণতা স্বাভাবিকের থেকে দু ডিগ্রী বেশি
বাচ্চার নাম লুকিয়ে লুকিয়ে তং তড়াক তড়াং কি ট্রিং কি চমক কি লাফ কি লম্ফ কি ললনা?
কি বিসর্গে বাজে তোমার সর্বশূন্য শেষ স্তর , কাপের সাইজে , চায়ের আয়তনে
বিরক্তে চিত্ত হোক জন্মের প্রথম কান্না
   নাসিকা বর্ণে উন্মুখ প্রকৃ্তি দোষ , আমাদের যুদ্ধ নগরে সূর্য উঠুক
     আমাদের শান্তি নগরে ঘড়ি চলে না , শধু স্ট্রাইকার ওড়ে পরম সত্যের দিকে...


নিঃশ্বাস ও প্রশ্বাসের মাঝে ইড়া , পিঙ্গলা , সুষুম্না জাগ্রত নিয়ে ভাসে
শুধু হাসপাতাল নয় বাড়ির প্রসব যোগ করো
          বুদ্ধর আলোর বুদ্ধ জ্বেলে দাও ব্যায়াম ও শরীর চর্চার ওপারে
             বাবার ৬৪ পাপড়িতে মেলে মায়ের ৩২
                 জেগে থাকে  চাল , গম , চিনির দোকানে
                     তন ও ত্র-এর লুকোচুরি ঘুরে মন ও ত্র-য়ে ফেরাও বরফ ও বাষ্পের সংজ্ঞা
                          তোমরা সংনমনে চটি খুলে এসো...

আশ্বিনের কবিতা ৫




প্রিয় জিম করবেট......
নীলাদ্রি বাগচী


ঘাস ডালপালা শুকনো কাঠের ওপর চাপান পাথর ।
সাতসয়ালি সোনা টিয়া  

পৃষ্ঠা উল্টে দেখছি ।

 পাহাড়ে সংজ্ঞায়িত আকাশ ।
আসছে যেন ইচ্ছা         মতো
এই কারুবিহনের হরিত পরিবেশ ।
ধুনি জ্বলেছিল কবে?
এই ছাই প্রমাণ করে কি আগুনে জড়ানো ছিল দাউদাউ?
হত্যাকারী পরিচিত
এও কি যথেষ্ট তৃপ্তি? অন্তত আগন্তুক ভয় সহজে ছোঁবে না
                                                                  এই স্থির?

বহু বছরের মধ্যে আজ রাতে
ঘুমুতে থাকা   
               বিড়াল ছানার বিশ্বাস 





গল্প ভেঙে উড়ে যাচ্ছে দিনমানকাকারের ডাকে অন্যমনস্ক পার হচ্ছি অবসর জীবন । কোনওখানে ভুল রাখা আছেকলমের চিন্তার যেন হাসি রাখা আছে অন্ধকার । শব্দহীন ফারাক বোঝাতে শুধু পুরুষ্টু যথেষ্ট কখন হয়? পরিত্রাণায় ভাবতে বসা সন্ধে রাতে ঝাঁকি রিক্সার আবডালে?

তীর্থশালার সামনে

সাপ । সাপেদের নড়াচড়া ।

ফণাহীন গোখরো এই অনুরোধ । শীতল রক্তের প্রাণী এই বিষ এড়াতে পারে না  



পরিত্যক্তা আস্তানায় শুরু হল ভোরের উড়ান

রাখালটি উবু হয়ে লক্ষ করছে পুলের বাঁ পাশে
যারা রয়ে গেছে অরক্ষিত         যাদের মৃতই বলবে ভবিষ্যৎ
                                                          শহীদ না
সাক্ষর বাতাস এই আঁকিবুঁকি
পরিমাপে
অনুষঙ্গ ভাগ করলে দিন কত ছোট       গতানুগত
হাতুড়ি এখানে নয়

এই টুকু এখন নিশ্চিত
মুখোমুখি সদ্যদিন      হাল্কা ছাপ

ফিমার বোনের কাছে বিঁধে আছে ছররা বুলেট


আশ্বিনের কবিতা ৪



কাল সকালে
-স্বাগতা দাশগুপ্ত

তোমার দিকে ছুঁড়ে দেওয়া ধাক্কা  মেরে হুমড়ি খেয়ে পড়া সব কষ্ট, আগুন আগুন চোখ থেকে ঝলসে পড়া কষ্ট, ইয়াব্বড় শরীর থেকে উপচে আসা কষ্ট, তোমার গায়ে লেপ্টে দেওয়া সকাল-বিকেল গরম-গরম কষ্টগুলো একমুহূর্তে আনন্দহোকপালটে গিয়ে আনন্দ হোকদুমড়ে-মুচড়ে আনন্দ হোক। আমার মাথায় ঝরে পড়া সব পাখনা, ওদের হাত-পা গজাকগরমকালে তোমার বাড়ীর আশপাশে ঝাপটে মরুক তোমার গাছের নিচেআসতে-যেতে লেপ্টে যাওয়া পাপোস থেকে ওরা রেণু মাখুক। ধুলোই খাকতোমার চায়ের কাপের হাতল থেকে একটু একটু গন্ধ খুলুকতোমার হাত বেয়ে বেয়ে নেমে আসা সব পরশপাথর খানিক নাহয় আশ্রয় দিকদুই বুকে দুই গন্ধমাদন আজকে নাহয় একাই তোলোআসছে শীতে আমিও থাকব লেপের রোঁয়ার হাওয়ায় হাওয়ায় আমিও পটাশ জন্ম নেব আগুন আগুন দুপুরবেলায় তোমার গায়ে জাপটে থাকা কষ্টগুলো আমার ঘরে অন্ন ফোটাক লেখার খাতা ভরিয়ে দিক কাল সকালে ভরিয়ে দিক চোখের পাতা ...   

আশ্বিনের কবিতা ৩


রোববার
-অনিন্দিতা গুপ্ত রায়

কতটা সংশয়পথ উপচে উঠেছে ক্ষেত্রফল
বারুদের শিকড়বাকড়
মানুষের মত নামধারী কিছুটা গোপন, তাহাদের তফাতেরা  
নিজের শরীর থেকে কাঁটাফুল ছাড়ানোর খেলায় আদিম
তার খুব কাছ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনায়
এতদিনে বালি বালি অসহজ নীল
সম্ভাবনা নস্যাৎ করে জল গড়ানের দিক থেকে উত্তলে
মাটির খনিজ থেকে মায়া এসে দুহাতে সরলরেখা
পাখিদের খুঁজে আনে ডানাদের নিরাময়ে    
একেকটা রোববার এরকমই আলোর উড়ান

আশ্বিনের কবিতা ২





তাহাদের পরে সাইমিয়া ক্যাসিয়া
-তন্ময় ধর

জলরঙে পাখি-
 পাখি আটের ঘরে আয়
টাটকা মিষ্টি উ রাংতা খুলে পাখি ডাকল-
অন্য ইশকুলের চুপচাপ

জাফরানী আলোর গন্ধে ঘন্টা বেজেই চলেছে
   আর অথৈ পাগল
 হস্তলিপি থামাচ্ছেই না

মুচমুচে বৃষ্টির পূর্বাভাস
 চিবোতে চিবোতে
তোর মতো একটা টিউনিং
  লাফিয়ে উঠছে সবুজ ব্রিজে

উঃ
পাথরেও পাখির ইকো-ট্যুরিজম থেকে
ঝাঁপিয়েছে বার্নট সায়েনা

আয় আয় পাখি

সমাদৃত ব্যঞ্জন জুড়ে
পাগলের জিভে সেফ-সাইড
উহ
   কিম্বা
       রূহ

ব্যূহ...

আশ্বিনের কবিতা ১



আস্তাবল
-অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়

ছিল হিম্মতের পাশাপাশি। আর ছাদের চারদিকে জড়িয়ে আছে মানুষের মতামত।একটা বিকেল যেখানে শুরুর কথা বলতে চেয়েছিল সেখানে সন্ধ্যা এসে নেড়ে গেছে মাথা আর কিছুটা চোখের আড়াআড়ি।কান্নার সেদিন ঘরএ ফেরা হয় নি আর। দেখা হয় নি এই চেনা রাস্তাটার সাথে।আর গাছটা সারারাত কত কি লিখে রেখেছে নিজের খেয়ালে। উহ্‌ করলে পাশ ফিরে আরেকটা নাকের ব্যঞ্জন। আর চেনা হাত ঘিরে ধরছে সবটা দেওয়াল। রু তখনো আবজানো। আর অনবরত খোলার চেষ্টায় কিছু মানুষজন। একটু আকাশ আর তাকিয়ে থাকা ল্যাডার।

ফোন কলস্‌ এ কেটে যাচ্ছে এক্সরে। চিনেও সেইসব দেখা যাচ্ছে না ঠিকঠাক। আর এই যে রাজার তলব তাকে ভুলে থাকার দায় যে নিয়েছে সেই মানুষটাই এখন বাঁশি বাজাচ্ছে পুকুরের পারে। আর রাণীমা মনে মনে গেয়ে উঠলেন জানালায়।

আস্তাবলে গিন্তি হচ্ছে আমাদের বাচ্চাদের। আমাদের নারী পুরুষদের। কিছুতেই হিসেব মিলছে না। কিছুতেই আজ সারাদিন কিছুই মেলেনি জঙ্গলেও। যাকে খাতায় লেখা হয় আদমসুমারী। বড়বাবু অনেক চেষ্টা করে সাহেবকে মানিয়েছেন।কিন্তু আস্তাবলের খবরটা কিভাবে দেবেন রাজা কে।

পাশে বৌ বসে আছে  রু আবজানো নিয়েই। মেয়ে বসে আছে রুনি নিয়ে। আর একটা সাদা মেঘ বেরিয়ে আসছে রাজবাড়ি থেকে। কোথায় যাচ্ছে ? যদি বলি না যাচ্ছে না। ফিরে এসেছে আমাদের হিসেব।ডান বা সাজানোর রং...

এবার বড়বাবুর চোখে আনন্দের বৌ আর মেয়ে দৌড়ে যাচ্ছে মেঘ ধরতে। সাদা সাদা রু ধরতে।

Sunday 1 September 2013

নভস্য শেষের কবিতা ৭



ফেনা
-    জয়শীলা গুহ বাগচী

এই অন্তর্বাসে এই আলোমুখি প্রভাব
ধুয়ে যায় কামরাঙা বেলায়
  আরও
  উঁচুতে
গালিচার চুমু আসে থেমে
সেই স্থির
সূত্রের বিষন্ন ঘুম
সিঁড়ির বাস্তব খুলে
ফোঁটা ফোঁটা গোপন
নদীর আদর হয়
নদী থেমে গেলে
  বাড়িঘর
  ঘরবাড়ি
পাড়াতুতো কোল
ঢুকে পড়ে অন্তর্বাসে
এই ঘনঘটায়