Wednesday 10 October 2018

উষ্ণিকঃ কাশফুল সংখ্যা

Image result for kashful in shadow bw

উষ্ণিক 
কাশফুল সংখ্যা 

কাশফুল ছোঁয়া ভরা পৃথিবীর বাতাসে শরতের আলোকমঞ্জীর
 পুজোর আলো-মাখা কবিতারা ছুঁয়ে ফেলুক দূর আকাশের ছায়াপথ

কাশফুলের মাসের কবিতা ১

Related image

নিরালায়
               -অভিশ্রুতি রায়

কতটা চলার পর
তুমি আসো?
আরও কতটায়
 তুমি আঁধার হয়ে যাও?
এই বাঁশিতে ফুঁ এর জোর ফুরিয়ে এলে
আমি বাঁশ হয়ে পরে থাকি
একহাত মাপা
শীর্ণ...
যে বিন্দু আমার আঙুল ধারণ করেছে
তাতেই জোর খাটিয়েছি চিরকাল
এই ঠোঁটে নরম তোমার হেঁটে চলার শব্দগুলো
এখন নিঃশব্দে আমার স্বরলিপি হয়ে আছে

( ছবিঃ অ্যালেক্স চার্নি) 

কাশফুলের মাসের কবিতা ২

Related image

স্বভাবচরিত্র
             - নীলাব্জ চক্রবর্তী



সে এক গানরঙ
জানলা বলতে বলতে ফেলে যাওয়া আঙুলের দিন
মাংসের সহজ ভেতরে চলে যাচ্ছে
আমাদের ভাঁজ করা বিকেল
মোনোলগ
মানে
নিয়ন্ত্রিত সব কাঁচ
আর বাতাসে ফুলে ওঠা স্নায়ু ও যোজনা
জলের মতো মানুষ দেখতে দেখতে
দরজা একটা দৃশ্য খুলে যাওয়া
সিনট্যাক্স খুলে যাওয়া
ছবিতে ছবি মিলছে না এখন আর
তবু
টার্নিং রেডিয়াস বরাবর
এঁকে বেঁকে
যেভাবে চরিত্ররা
স্বভাব থেকে দূরে চলে গেল...

(ছবিঃ গ্যারী হার্ট)

কাশফুলের মাসের কবিতা ৩

Image result for milky way best photos

এক টুকরো পৃথিবী 
                      -প্রদীপ চক্রবর্তী

এক /

সাপের ফণার মুখে চ্যুত শব্দ |
 উদভ্রান্ত পিঞ্জর ,
প্রসারণশীল সফেন তৃষ্ণায়
নুড়ির মতন বেজে উঠলো পাখিটার মাতৃভাষা

রসময় সূক্ষ্ম দেশে
       পুলক পাখি গাইছে মৃত্যুপূর্ব , গৌড়সারং

নিজেরই ছায়ার সঙ্গে একাকারে বোনা পাখিটাকে আত্মস্থ করতে নেমেছে
অনাদি এক অনাপ্ত যৌতুক ...

মনের প্রত্যন্ত ভোরে
          অবিন্যস্ত মহাসমুদ্র বিশেষ্যমাত্র

বিষ
       মৃদঙ্গ ধ্বনি ,
এক টুকরো ঢিল
                    এক টুকরো পৃথিবী ...


দুই /

একটা ওল্টানো পাখির ওপর ঝরে
কোন জলপিপি
কোন স্ফটিক নির্মিত গন্ধ
ললিতা থেকে শরীর পর্যন্ত

এই প্রীতিগুলি ,
এই সাঁকোটুকুর এরকম গাঁও

পিলুর যত শীত
খামার
জঙ্গল
জল
ভয় ভয় কুসুমের বাড়ি

সেই উপেক্ষা ...
উঠেআসা নিঃশব্দ ভুরুর ওপর
অফুরো খড়কুটো দিয়ে বাসা বাঁধা

শরীরী শ্রাবণের বোঝাপড়া পার ...

মিথোজীবী একবার খুলে যাচ্ছে ,
শব্দ না করে
একবারই রক্তে শুধু মাংসমিশ্রন ,
মুখের পাতায়
                     শিশিরের নিচে
স্খলিত পাখির জলঘন্টা
                  রাখতে চেয়েছো গতকাল ...

(ছবিঃ ডেভিড কিং হ্যাম)

কাশফুলের মাসের কবিতা ৪

Image result for milky way galaxy by amateur photographer


রুজা
      -হাসান রোবায়েত
 


নির্ভূগোলের দেশ— কেন অন্ধ ভেড়ার সাথে
কথা বলে জানালার শিক
অনর্থক গুল্মলতা অন্ন-শান্তির কাছে বহুকাল
অন্য বাদল কী ভীষণ সহজিয়া
রোজ উড়ে যায় লক্ষহীন ক্রিয়াকার্পাসে

ইস্পাতের কত কাছে মানুষও নপুংসক দেয়াল
কে যেন আসবে বলে
চড়ুই-দূরত্বের কথা জমে ওঠে নাকফুলটির পাশে—


(ছবিঃ মিক্কো ল্যাগারস্টেড)

কাশফুলের মাসের কবিতা ৫

Image result for milky way galaxy by amateur photographer


সিক্ত 
      -নিবেদিতা মজুমদার

বৃষ্টি হবে হবে করে না হলে
বুকের ভিতর এক পদ্ম জল জমে যায়।

ব্যাগের ভিতর দুমড়ে থাকা
রেনকোটের শব্দ হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে
জুড়োতে থাকে লাস্ট বেঞ্চে,
খুলে ঘুমিয়ে পড়া ইংরেজি বইয়ের
একুশতম  ভিজে বর্ণের লাল হলুদে।

সবুজ হারানোর  অবগুণ্ঠন খুলে
খানিক বিদেশী ছন্দে মাটি স্পর্শ করার আঘাত
বুকের পদ্মে আবার জল ছিটিয়ে দেয়,
যেখানে হলুদ রঙ অযাচিত।

একেকদিন বৃষ্টি না এলে বীজতলার
খুব জলতেষ্টা পায়, তারপর  আগলে রাখা
একটি রঙিন ছাতার মত চোয়া-রং
চার প্রহরে বৃষ্টিপাত ডেকে আনে-

অথচ
তৃষ্ণার্ত পদ্মনাভ জল ছেড়ে ছেড়ে
শুকিয়ে চাতক।

(ছবিঃ ইয়ান নর্ম্যান)

কাশফুলের মাসের অনুবাদ কবিতাঃ রোমানিয়া থেকে ড্যান সোশিউ

Image result for dan sociu


খিড়কি

আমি পেনের জন্য পকেট হাতড়ালুম, আর হাতে উঠে এল একটা টুথব্রাশ
এটাও শহর-দখলের একটা উপায়
রোজ রাতে নতুন নতুন বিছানায় ঘুমানো
এই যেমন, দু'দিন আগেই আমি এক সুরক্ষাকর্মীর বদান্যতায়
এক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের অফিসে ঘুমিয়েছি
শাদা কোট, ছুরি-কাঁচি-সিরিঞ্জের মাঝখানে!
টেবিলের পায়ায়!
তার চাইনিজ নরম পাদু'টো টেবিলের পায়ার পাশে ঝুলছে
সে শিশুবিভাগ থেকে জুতো কিনছে
বিপর্যস্ত হচ্ছে এমন এক মানুষের হাতে
যার অঙ্গভঙ্গি অত্যন্ত পেশাদার
আমার চূড়ান্ত বিপরীত
আমার নিষ্ক্রিয় ভাবমূর্তিতে হাত বুলিয়ে
যন্ত্রণা খুঁজে আনে

আমি এক বান্ডিল কাগজ খুঁজতে গিয়ে কেবল একটুকরো কাগজ পেলাম
আর সিদ্ধান্ত নিলাম, ওটা পশ্চাদ্দেশে গুঁজতে হবে, কেননা রাস্তাঘাট বড় ঠান্ডা
আমি বড় ক্লান্ত, দাঁড়িয়ে একটু পান-আহারের উপযুক্ত নই
যেটা আমি লিখতে চাইছি
টেবিলের পায়া আর ভালোবাসা নিয়ে একটা পংক্তি
আমার মনে হয়, কোথাও পড়েছিলাম, জানিনা কতবার
কিন্তু ওই সুন্দর পংক্তিটা নিয়ে আমি রোমন্থন করতে শুরু করেছি
যেন একটা মিছরির টুকরো যা আমার পরিবর্তনের সাপেক্ষে দেওয়া হয়েছে
২৪X৭ ভদকার বোতলের প্রান্তে
যা ট্যাক্সি ড্রাইভারদের রঙিন বাক্সে ঘুমিয়েছে
আর সেই বাজনাদার মানুষটি অভিশাপ দিয়ে গেছে আমায়
আমি তাকে শেষবার সেই গানটির সুরই বাজাতে বলেছি
সেই একটিমাত্র গানই সে জানে, যা আদতে
সে ঘন্টাখানেক আগে শিখেছে
আমি তাকে ব্যাখ্যা করি যে, আমি ঘুমোই নি


(কবিকৃত ইংরেজি অনুবাদের মধ্যস্থতায় অনুবাদ করেছেন উষ্ণিকের সম্পাদক)

ড্যান সোশিউ-এর জন্ম ১৯৭৮ সালে, রোমানিয়ার বোতোসানি শহরে। শূন্য দশকের একেবারে গোড়াতে সোশিউ এবং তাঁর কবি-বন্ধুরা 'মিসারেবিলিজম্‌' নামে এক কবিতা আন্দোলন শুরু করেন। ইউরোপের একাধিক ভাষাতে অনূদিত হয়েছে তাঁর কবিতা। 

কাশফুলের মাসের কবিতা ৬

Related image

ঈশ্বরমূল
            -তন্ময় ধর 

তোমার নাভি থেকে ঈশ্বর নামক এক শূন্যতাকে আমি ভেঙে ফেলি
সামনে বিষাক্ত ছায়াপথ, জল, মৃত ছাতিম

শব্দের পর শব্দের পারফিউম থেকে
তোমার রক্তচন্দন ফুরিয়ে আসছে

অর্ধেক শস্যের মতো প্রেম
লিখতে লিখতে আলো

মূর্তি ভারী হয় শাকভাত, পরজন্ম ও প্রদীপে
নদী ও স্প্যামে ফেলে রাখা কোন ঝিনুক

আমিও ঈশ্বরের মতো উত্তপ্ত হয়ে উঠি
আকাশমন্ডলে কি আর একটু বৈখরী নেই ?




(ছবিঃ পল উইলসন) 

কাশফুলের মাসের কবিতা ৭

The triangular glow of the zodiacal light taken from the European Space Agency's La Silla Observatory in Chile in September 2009 only minutes after sunset.


আর্তি
             -বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়

যে ভেজার কোন উপমা নেই
উপশম গন্ধ নিয়ে  গড়িয়ে যাচ্ছে একটি বিকেল
তার গায়ে সুর্যাস্ত লটিকে দেওয়ার আগে  একবার স্থির হয়ে বসি

ছবিও সাঁতরে যাচ্ছে দূরত্বের  খেলাঘর
 একটু চীৎকার নিয়ে প্রাণপণ শব্দভেদী আশ্রয়ের আশ্চর্য আকাশ
ফালাফালা করে এই আত্মঘাতী দিন

কীরকম ভাবে এই ধ্বনিগুচ্ছ  আমাকেই অতিক্রম করে ।

(ছবিঃ ইউরোপীয় দক্ষিণী পর্যবেক্ষণাগার) 

কাশফুলের মাসের কবিতা ৮

The Milky Way over the Elbe Sandstone Mountains in Germany.

জানালার ওপারে
                   -শিবু মণ্ডল  

তৈরি হতে থাকা একটা জানলা
অনেকগুলো দৃশ্য গড়ে তোলে
অভিমানে পড়ে থাকা মন্দির
অহং-এ বেঁকে যাওয়া হাওয়া
ক্ষুধার মতো অসম লড়াই

বিবিধ দানাসশ্যে সাজানো কথা
তুলে ধরে কাঁঠালফুলের স্মৃতি

কারা যেন চেপে ধরে রথের চাকা

(ছবিঃ ফিলিপ জাইগার)

কাশফুলের মাসের কবিতা ৯

Astronomy Photography of the Year shortlist Milky Way photo

রুতবা
            -নীলিমা দেব

১.
কুমারী রাত
মথ এর মতো চুইয়ে পড়ে কুয়াশা
কে যেন এক কাপড়ে ঢেকে দিচ্ছে শহর
জায়গাটা , সময়টা একেবারে ফুঁ
ভাবছি হারিয়ে যাওয়াটাই আবিষ্কার
নাও শাসন করো ঘর থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া বারান্দার রুতবা

২.
মাঝেমাঝে এভাবেই তুমি
আলাপ ছেড়ে ইঙ্গিতে
হতে পারতো কোন উৎস বিসর্জন আগলে
উজার করে দেয় স্রোত
আর ভাসতে ভাসতে একাকী হয়ে ওঠে আরও বাসী আলো
তারপর যা কিছু অকারন
সেটুকুই ফিরে দেখা
মিথ থেকে মিথস্ক্রিয়ায় টপকে টপকে পড়ে অন্ধকার তরল ...

(ছবিঃ যেজ হিউজেস)

কাশফুলের মাসের কবিতা ১০

Astronomy Photography of the Year shortlist panorama of 8 photos

সাধ
           -রাজেশ শর্মা



নিয়নের অসংখ্য ডানা
প্রহরে প্রহরে তারা নিয়নলগ্ন

হাওয়াছাতিম এক
জংলা কইতরের মত দানা দান ভুখ

পিঁড়ি পেতেছি
গরাস গরাস ইচ্ছে

রিনটিন চুড়ির শব্দে
স্বাদ স্বাদ ভাব

(ছবিঃ কার্লোস তুরিয়েঞ্জো)

কাশফুলের মাসের কবিতা ১১

Astronomy Photography of the Year shortlist Cable Bay photo

ধাইর*
              -সু চক্রবর্তী


তোষকের তফাতে চলে

কানাঘুষো।

তঞ্চকের শিয়রে

কুলুঙ্গির ফাঁকসমান  চুলা,
আমাদের লংকার মতো
তারও
গাঁটে গাঁটে ইটমাটি ভাঙা বাঁশ।

মালোই*
জুড়ে অযোধ্যা!

সীতাহরণ ;ব্যসন বালিশের

বিছানায়
----

বি.দ্র-

ধাইর- বারান্দা
মালোই- নারকেল মালা
-------------------------------------
(ছবিঃ মার্ক জী) 

কাশফুলের মাসের কবিতা ১২


Astronomy Photography of the Year shortlist Florida photo

হেমন্ত কুলীন ঋতু
                          -জয়ীতা ব্যানার্জী গোস্বামী

হেমন্ত কুলীন ঋতু,কুয়াশাকে বলতে শুনেছি
ছাতিমের ঘোর আর গুটিকয় ভাসানের আলো
জানালায় এর বেশি কোলাহল রাখেনি কখনও
গোপনে ভেঙেছে শুধু শীতকাল গড়ে দেবে বলে

ধূসর উঠোনে তার কেটে যায় অসুখের দিন
"এই বেলা ভালো আছি ,সেরে উঠবোই দেখে নিও"-
চিঠি লিখবার ছলে নিজেকে নিজেই ছোঁড়ে ভ্রমে
ও কি সেরে ওঠে? কই প্রতিবার অজুহাত খাটে  !
     
নির্বিকার তবু তাকে ঘিরে বাঁচে সবুজের নামে
একেকটি ভোর আর প্রেমিকার ফেলে যাওয়া ফুল
কখনও ফিরতি পথে যদি খোঁজ নিতে আসে কেউ
উঠোনে দেখেই যেন ," ঘরে এসো",বলে দিতে পারে

হেমন্ত কুলীন বড় । অপেক্ষা সাজাতে ভালোবাসে
আতপের ঘ্রাণে লেখে নবান্ন ও ফসলের মাস

(ছবিঃ তিয়ান্যুয়ান জিয়াও)

কাশফুলের মাসের কবিতা ১৩

Related image

পাহাড়ের এই বাতিঘরে 
          -সৌমনা দাশগুপ্ত


ভেসে যাওয়া পাতাদের ছায়ার ভেতর থেকে আলোহীন মানুষেরা তোমাকে “উল্লাস” বলে স্বাগত জানাল। আর উচ্চকিত অন্ধকারে গলার স্বরের মতো ডেকে উঠল একদল নেকড়ে। রাসায়নিকের এই ঝাঁঝালো  বাষ্প অব্দিই তোমার চোখ পৌঁছোতে পারছে। তারপর আর কোনও পাহাড়ই থাকছে না প্রচ্ছদে যার ওপর  ঠেস দিয়ে তোমার সূর্যটাকে দাঁড় করিয়ে দিতে পার।  গলে যাওয়ার পর শেষ বা শুরু বলে তো আর কিছুই নেই। ছায়া খুলে রেখে একা একাই চলে যাচ্ছে গল্প। মাংসের এই বাগানে তুমি আর ঢুকতেই পারছ না। জমাট পাথরের কুয়াশা কোনও যাদুদন্ড দিয়েই কেটে ফেলা যাবে না। আর আকার ভেঙে ফেলার পর রেখা এবং বিন্দু বিষয়ক কোনও অধ্যায়ের তো প্রশ্নই নেই। শুধু এবং শুধুমাত্র বাতাস আঁকড়ে ধরে তুমি পৌঁছে যাচ্ছ সেই চূড়ায়, যেখান থেকে নেমে এসেছিল এই গল্প

(ছবিঃ বার্কেহান বেন্ডিভার) 

কাশফুলের মাসের কবিতা ১৪


Related image

বনদহনের ঘাস
                     -জ্যোতির্ময় মুখার্জি         



এভাবে তোমাতে বনদহনের ঘাস

উদ্বাস্তু হোক। উদ্বাস্তু হোক

                              শরীরী গুম্ফা


কোনো কথা নেই। নেই কোনো মনোরম অসুখ

ওসব ছড়ানো পথ। ওসব জড়ানো পা

কী যেন তার নাম

খেলতে খেলতে দৃশ্য কাঁকন কুমারী মাঠ


চুরি গেলে ব‍্যবধান

চাঁদেরাও হেলেদুলে এসে চিবুক চেঁটেছিল

(ছবিঃ ফ্রেড উইলসন)

কাশফুলের মাসের কবিতা ১৫


Image result for milky way galaxy painting

পরিস্থিতি
             -পিয়াল রায়

ঢাকনা খুলে দিতেই একপাল হিম
জল নিতে এল পাড়ায় পাড়ায়

ওরা তো জানে না
এতদিনে কোথায় কোথায় ছড়িয়ে পড়েছে
ওদের কুকীর্তিগুলি

যতদিন শক্ত ছিল
     রোদও ছিল ততদিন নরম

গলে যেতেই মাছেদের সাম্রাজ্য
   ভেঙে পড়ল অববাহিকার উপর
ছিটকে গেল ভীরু কাপুরুষ অঙ্গহেলন

আমি বরাবরই তার পায়ের কাছে নত

আজ বা কাল যেভাবেই হোক
     আমি জানতাম ফিরে আসাটাই
 সবচেয়ে সহজ

সবচেয়ে সহজ নিজের ভিতর অক্লেশে দিনাতিপাত

(ছবিঃ ভেরোনিকা মিনোজি)