প্রিয় জিম
করবেট…
-
নীলাদ্রি বাগচী
৪।।
সে এসেছে সে ফিরে গিয়েছে বারবার......
সেক্সপিয়ার
মেনে নরক তখন ফাঁকা
পৃথিবীর আনাচ
কানাচ ভরপুর
জল ছুঁয়ে জাগার
মতো পুরনো অভ্যাস তখন
ত্যাগ করছে
জহুরি রমণী
কি ভাবে বোঝাবো
তার পাতাবাহার শব্দ
ঘন ঘন সর্দি
অনুবাদ করলে
আমগাছ
পণ্ডিতজির বাড়ি
কুড়িয়ে পাওয়া
সোনার গল্পের মতো ঘনায়মান
ভাবনারে
মাতাচ্ছেন সাহানা বাজপেয়ী
ভাব বলছে আজ
তবে প্রত্যাশায় হবে
আর
কোনও শব্দ নেই
স্পষ্ট দেখা
অন্ধকারে ছাগল শিশুর নড়াচড়া......
৫।।
শ্রাবণ
গড়াচ্ছে, যাচ্ছে জন্মদিনে; চায়ের পিপাসা
ছেঁকা রাগে। গান খুঁজছি সারাদিন। শুভেচ্ছা বা বনদেবী বড়জোর ম্লান আলোকের ফোঁটা।
ঘেমো চশমায় আর নজর চলে না। খেয়াল না করলে এই বানভাসি সকাল পোড়াবে। নিড়ানো পাটের ক্ষেত
অন্য নামে জলের বিস্ময়, যাবে এই শুধু থেকে । নবমীদশায় থাকবে। পাকেচক্রে ওস্তাগর
রিফু করবে ছেঁড়া বনভূমি। সরলবর্গীয় রেষারেষি।
ভাবছি তোমার
কথাও।
তুমি কোনখানে
খুঁজতে যাবে সাপ?
পাহাড়ি মাছের জন্য তিনমুখো বঁড়শি ফেলবে?
খুঁজে পাবে বুটজুতো শুকতে
দেবার মতো অতখানি জমি ?
দীঘল ছায়ার নাম
বহুপর্ণী। দিন তো চলে না। তবু।
সেই
ইতিহাসমুগ্ধ বহুতল পাঠক তোমার, অপেক্ষায় আছে। আজ অবশেষে চাঁদ। আজ জানুগতি সেও
আসবে। অবসর ভেঙে উড়বে ব্যাবলার। পিছল জমিতে পড়বে রবার সোলের ঘন ছাপ
৬।।
আঁকাবাঁকা খাত
ভেঙে উঠে আসা চল্লিশ গজ
ইবটসন ফিরে যাছে
পাউরি
তুমি একা
পুলের বাঁ পাড়ে
সামগ্রিকে
গাড়োয়াল ছড়িয়ে রয়েছে সবদিকে
বসতে পাড়ার মতো
কোনও গাছ আশেপাশে নেই
সঙ্গে আনা
পেট্রোম্যাক্স জ্বেলে তুমি ফিরে আসবে বন বাংলোয়
সন্দেহ হবে
অলৌকিক ক্ষমতায়
কাঁধ থেকে, পিঠ থেকে মাংস খাচ্ছে একাকী গুহায়
"সামগ্রিকে গাড়োয়াল ছড়িয়ে রয়েছে সবদিকে
ReplyDeleteবসতে পাড়ার মতো কোনও গাছ আশেপাশে নেই"
পংক্তিদু'টি নিয়ে প্রশ্ন থেকে গেল নিলাদ্রীদা। প্রথমে, "সামগ্রিকে" আর "সবদিকে" - একই শব্দের একই পিঠ নয় কি? আর দ্বিতীয়-য়, "বসতে পারার"-এর বানানমুদ্রন পাঠকনির্ধারিত খেলাটিকে প্রকট করে দিল কি? সব্বার লেখা ভালো লাগল, শ্রাবন-ই নানান মুদ্রায় শরীর উড়িয়ে দিয়েছে নারীপুরুষের কলমে, কলামে !
Nildri Da tomar Corbett ek jatiyo sompotti hoye utchye...aro ektu direct approach neoa jai ki...aro ektu shikari....
ReplyDelete