রান্নাঘর
-
অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়
২৮.
রান্নঘরে যেদিন সর্বনাশ প্রথম এলো
কুকারের ঢাকনা ফাটিয়ে সিলিং অবধি
বয়ে গেল হুসেনের অমীমাংসিত ঘোড়া
ইস্ ছোলার মকবুল এত প্রিয় ছিল
বর্ণে হলুদ, গাভীদের তলপেটে আসন্ন বাছুর…
কাঁঠালপাতার গায়ে
নিজের বুড়ো আঙুলখানি মেলে ধরি
এই সামঞ্জস্যর মধ্যেই সর্বনাশ আসে,
বসবাস করে
যেন পর্ণকুটীরের পাশেই
ভাত ফোটানোর জায়গা
মাটি হতে জন্ম নিচ্ছে ঘাস,
পানীয় জল নিচ্ছে
পিপাসার দিকে সমস্ত হেঁটে যাওয়া হরিণ নিয়ে আছে
যখন রান্নাঘর ও দরোজার সবুজ বন্ধ হল
পাঁচিল ধরে একটি বিড়াল হেঁটে গেল
গ্রীষ্মকালীন এই ছায়া,
কাঁচা আমের টক
হে প্রভু, সাইবেরিয়া সেই কথিত শীতল দেশ
মেজোমার উন্মুক্ত হাঁটুর কাছাকাছি
মাথা রেখে, মেঝেতে শুয়েছি আরামে…
কন্ঠনালী দিয়ে যখন কলাই’র ডাল পোস্ত আমের টকমাখা নামছিল, সর্বনাশ চুপিচুপি আমাদের জানিয়েছিল সে নাকি গুনতে শিখেছে থালার ভাত।। ভাগ্যিস পড়ে আছে পাশে…
অসাধারণ।
ReplyDeleteঅনি...দারুণ লেখা। দারুণ।
ReplyDeleteশ্রাবণ উপড়ে ফেলার মতো লেখা... একটা ফলক, নিঃসন্দেহে...
ReplyDelete