জাদু করা বাস্তব...
-নীলাদ্রি বাগচী
সব সকালের সুর এক তারে বাঁধা থাকে না। তোমার লাঠির মাথায় তুমি ঘুরিয়ে নাও আলো আর রেশ প্রান্ত থেকে প্রান্ত চলে যায়...
বৃষ্টিদিনে ঝলমল করে ওঠে পুকুর। দৃশ্যের ব্যাবধানে ভুলে যাওয়া ত্রিভুজের রান্নাঘরে পরিপাটি তৈরি হয় মাখনের সুস্বাদ। তৈরি হয় ক্লান্তি বিনাশক একটি সন্ধ্যে। আপেক্ষিকে আবহাওয়ার ঘোরে ডুবে যাওয়া রেলফলকের পাশে জলে নামা কিশোরী দেখে, বহু দেরী করে যাচ্ছে স্থানীয় ট্রেনটি। সে নিজেকে জলে ঢেকে রাখে আর জল ঝলমল... উচ্চকিতে বর্ণনে যায় আসন্ন বৃষ্টি সন্ধ্যার...
হরিণী, মায়াবনবিহারিণী, তাকে ধরবার জন্য বিষণ্ণ এগিয়ে যায় দীর্ঘ হুইসেল দিয়ে স্থানীয় ট্রেনটি। চরাচর লুপ্ত হয় টানা বৃষ্টি শব্দে। নামানো শার্সিতে জলের আঙুল লেখে দূরত্বের প্রতিশব্দগুলি...
আমি শব্দ ধাবমান। অস্তিত্ব স্থির আর আসন্ন সন্ধ্যের জন্য মাখনের তীব্র শ্বাস... হকারের ছোটো কফি কাপ...
###
নেমে জল। নেমে আঙুল ডুবিয়ে পার প্লাস্টিক মোড়ানো রিক্সা রঙ। টোটোর প্রস্থের মতো অসীম দূরত্বে সুখ, শহর শরীরে জল বসন্তের চিহ্নগুলি দেয়। তবে তা নিয়নে, বড়জোর এল ই ডি মেধায় এইসব শহুরে দ্যুতিকে অনায়াস পার করে শান্ত বর্ষা সন্ধ্যে; জল চোখের গভীরে খোঁজে নিকট অতীত। ভাবে, ক্লান্তি একটি প্রতিশব্দ, পথপ্রান্তে সেজে থাকা পানগুমটির বয়ামে বয়ামে যেরকম স্মৃতি...
স্মৃতি এক কারিগর যার নির্মাণের ত্রুটি যানবাহনের শব্দ অনায়াস ঢেকে দিতে পারে। ঢেকে দিতে পারে যতি, চিহ্নগুলি লুপ্ত ক’রে হাতের ভেতর থেকে হ টুকু তুলে এনে মোড়কে ছড়িয়ে দেয় মোহ... দেয় সপ্ত ঋষি গল্প, অন্তরজাত কোনও সুস্বাদু পরিবেশনের দায়িত্ব এড়িয়ে গিয়ে অতিরিক্তে আরও কিছু দেয়...
সম্ভবত, গোপন বিরহ। ফলে, দোর খুলে যায় সেই দীর্ঘ লাঠির গল্পে আর হ্রস্বে কাছে আসা বোধ...
বোধ যার অন্যনাম প্রস্তাব পেরিয়ে আসা অনাস্থার প্রান্তবিন্দু... শহরের প্রান্তদেশে ভেজা মৌরির সুঘ্রাণ...
(ছবিঃ ক্যাথেরিন জেল্টেস)
No comments:
Post a Comment