"যে বালিকারা কখনো মরে না" তাদের থেকে
-স্যাফিয়া এলহিলো
একটি বালিকা বুক পর্যন্ত কবরে চাপা
লাল মাটিতে তার মণিবন্ধ
মাটির নীচে বন্দী হওয়া
দড়ির ফাঁস জনতা ভীড় করে
পিতৃত্বের মতো এর অসীম
হাত এঁকে ফেলে আলগা বক্ররেখা
একটা পাথর একেবারেই ক্ষুদ্র
একটি নিক্ষেপে নাম নিয়ে ফেলে
মৃত্যুর একক কারণ
নেই রক্তপাতের জন্য দায়ী
বালিকাটি অকন্যা অনামিকা
মুখহীন কোথাও বংশপরিচয়ও নেই
তার ফোটোগ্রাফ নামানো হয়েছে
বুকশেলফ থেকে দেওয়াল থেকে আর তার বাবা
ওই হাতগুলোর মধ্যেই পুরুষ প্রস্তর
কোয়ার্টজ খচিত প্রথম নিক্ষেপের জন্য তৈরি
হাওয়ায় বৃত্তচাপ তৈরির জন্য বালিকাদের দিকে
শিকড়হীন এক গাছ মুখ নেই, ঋজু
এবং সম্ভবত পাথরটি পালটি খায়
আতশবাজির মত বালিকাটি
তাদের কুসুম-নিউক্লিয়াস ওঠে
কালের অলখ দাগে বৃষ্টির বিপ্রতীপে
শিলাবৃষ্টি ও নীরবতার বিপরীতে
একটু বেশীই লম্বা এবং অন্যরকম
অন্যরকম এবং ডানার মর্মরধ্বনি
বালিকার মাথার ওপরে
একঝাঁক ঘন মেঘের মিশেল
উদ্বিগ্ন পাখিকূল তিতির আর রাতচরা
এবং সোনালী চড়ুই আর জলপিপি
আর টিট্টিভ আর সব জাতের
আইবিস, সারস, গাঙচিল
যদিও সমুদ্র ঢের দূরে ঢের উত্তরে
এবং মুহূর্ত চলে যায় অস্পৃষ্ট বালিকা
এবং প্রতিটি পাখির ঠোঁটে উচ্চারিত হয় একটি পাথর
।। ১৯৯০ সালের ১৬ ডিসেম্বর জন্ম স্যাফিয়া এলহিলোর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম এবং পড়াশোনা। কিন্তু তাঁর রক্তে-বোধে-চেতনায়-উত্তরাধিকারে গৃহযুদ্ধ-বিধ্বস্ত সুদানের বুকের ব্যথা। এযাবৎ চারটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে তাঁর।।
অনুবাদ- সম্পাদক, উষ্ণিক
ছবিঃ WGN Radio
No comments:
Post a Comment