Tuesday 10 October 2017

আকাশপ্রদীপের কবিতা ৭

Image result for light abstract photography

মুদ্রাদোষ
        -অতনু বন্দ্যোপাধ্যায় 

হাতের চারপাশে অজস্র রা
গিনির পশ্চিমে তখন ডুবে গেল যে মানুষটা

ওখানেই ছায়াওয়ালা মেঘ
আর জলের আভাসে নিভে যাচ্ছে হাতের রেখাগুলিও

লোকটাকে আমি চিনতাম
তিনি এই রাস্তার কাছে আসিলে

যে চুলে খোপার গন্ধ তার দিক বরাবর প্রোগ্রেসিভ ন্যাওটার দলে লোক সংখ্যা যখন ভারী করিল আমাদের ম্রিয়মান গোধূলির কিতাব পরিসরে আনত প্রবাহ যেন চিহ্ন রাখিয়া যাইতে চায় শরীর বরাবর।
তুমি বোধ করি স্পর্শ করিতে পারো এইসব হ্যাচ্‌কাদের। মূল নদী হইতে সরিয়া যাইতেছে আলতো মুদ্রারেশ। বাহারে আকার পাইতেছে পাথরের প্রজনন। আমরা হাত ধরাধরি করিয়া বিড়াল পুষিলাম।তার গলায় শিকল পড়াইয়া বুঝিতে চাইলাম মেওয়া আসে কিনা।

মানুষ বড় উদার এই সময়। নিজেকে ঘুড়ি ভাবিয়া উড়িতেছে  আস্তাবলে।আর চোখে ফুটো করিয়া দেখিতে চাইতেছে এই দেশ আর কত দূর। কোথায় পৌঁচ্ছাইতে পারিলে তারা দেখিতে পাইবে কিছু ফুল এখনো ফুটিতেছে আরো কিছু ফুলকে মেয়েটার নরম করিবার মন্ত্রণা সব

বিষাদে ভুলিলো যারা তাহাদের কিবা দিন কিবা রাত্রি করিতে করিতে
চালু হইল এই মিশিবার তরে অকুলে ফেলিয়া রাখা কিছু কিছু অভিপ্রায়
শয়নের কিনারে ওই মুখাগ্নি গোকুল।

ট্রেন চলিল। সূর্যও ভাঙিল রেখা গন্ডি ভাবিয়া।
স্টেশন আসিলে কেউ হাঁক দিয়া ডাকিবে আবার।
মাদল হইল শুরু। ম্যাগনোলিয়া দেখিতে দেখিতেই জানা যাইবে
এই পথে কত কত গাছ মরণের আগে কি কি বলিয়া গিয়াছে। কিকি জানিত তারা পরত বিষয়ে।

(ছবিঃ উইলিয়াম ক্লেইন ব্ল্যাক)

No comments:

Post a Comment