গান
-কস্তুরী সেন
১/
জড়িয়ে ধরা রাত্রিভাষা, বাতাসে তানপুরা
তখন স্নান করার মতই ভোরের শরীর জাগে...
কে কাকে ভেদ করলে এলো অন্তরাতে আলো
বিজলি ঝলক দিলীপকুমার, মন্ মোহন আগে!
২/
বসে যাও আরও, খেয়ে যাও না গো রাতে!
নিতান্ত ক'রে বলা অসাধ্য, সারা সন্ধেটি ভিড়
মলয় আসিয়া কানে কহে গেছে প্রিয় কণ্ঠের নাম ;
আমরা দরদি, মহড়ায় সবে প্রেমে পড়া মেয়েটির...
৩/
এই পথে বৃষ্টি ছাড়া আর কিছু নেই
এই পথে বাড়ি ফিরছে একা ছাতা, আধাআধি লোক
অগাস্ট ছাতার নিচে এপ্রিলের সন্ধেবেলা, কেউ না দেখুক
শোন সখি বলি তোরে, আজ বলি তোরে
এপ্রিলের সন্ধ্যাটির বাকি অর্ধ এইমাত্র এসে নামল
রবীন্দ্র সরোবরে --
৪/
ওরা কিন্তু বন্ধুই দারুণ,
আর ওরা নজরুল, দিলীপকুমার, সাঁইতিরিশ সাল!
'কী সব মানুষ তখন রেডিওতে' এই করে দীর্ঘ রাত,
দুজনের দীর্ঘরাত বয়ে যায়...
জ্বলবার মন্ত্র দিলি, সামান্য মানুষ ওরা, না জ্বলে যাবে বা কোথায়!
(ছবিঃ ক্রিস ভীনেমান)
গানের কথাগুলো তো বেশ। ভালো লাগলো।
ReplyDeleteযে কটি গানের ছত্র ব্যবহার করেছি, সবই দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের পুত্র দিলীপকুমার রায়ের গান। তিনি কিংবদন্তি। ভালো লাগল ভালো লেগেছে আপনার।
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteকবিতাক'টির ছায়ায় কিছুক্ষণ বসি। জুড়োই।
ReplyDelete