সহজ কবিতার খোঁজে
-প্রদীপ চক্রবর্তী
এক /
টুকরো টুকরো নরম
দু হাতে আঁজলা করে ছড়িয়ে দেওয়া হতো
সেই মনের দখলী বাগানে জরিপ রেখা টেনে
ঘুমিয়ে গেছে সামান্য বিষয়হীন রঙ
কোন শব্দ লিখেই আজ আর সেই রঙের কাছে
যেতে পারছি না ।
পৃথিবীর ভরকেন্দ্র থেকে একটু একটু করে সরে আসছে অথৈ নোনা জল ।
এই যে সুদূর সম্ভাবনার নীচে
পিরিচের ওপর আমার হৃদপিন্ডটা
ওলনদড়ির টুকরোগুলো ,
ভুলে যাওয়া শব্দের কৌতূহল অব্যর্থ ,
ভ্রু - সন্ধিতে অতিজাগতিক উদ্দেশ্য ...
বৃষ্টিভেজা বর্ণবোধহারা এক অসহায় , সুযোগসন্ধানী
কতো আড়কাঠি টপকে অনন্য জলাশয়ে
লুকোনো গোড়ালি পর্য্যন্ত একটা অন্তহীন
সন্ধের খোঁজে
হাপিত্যেশ করে বসে আছি
যে শরীর ঢেউ থেকে উপড়ে ওঠা
শিশুর ঘুনসিতে বাঁধা ঘুঙুর
তিরতির শব্দদ্রুম
সদ্য মুখের আনুপূর্বিক বেদনা বড় দুরূহ প্রস্তাব
বর্ষার দেশগুলোতে শিশুরা নিঃসঙ্গ হয়ে
উদাস খেলা দেখতে চায়
আপেল ও টমি গানের জন্য ...
দুই /
ঈষত্ মালিন্য । ঈষত্ প্রাচীনতম হারেম ।
আর ,কাউকে পরোয়া না করে
সময় ফুরানো স্বপ্নে
নিজেকে থামিয়ে রেখেছে ,
ফিনিক্স - গোত্রীয় করণিক ...
কেরানীগঞ্জে এক সুউচ্চ বেড়াল বেরিয়ে এলো ।
ছায়ার মতো অকিঞ্চিত্কর মাছ অনেক অচেনা বেড়ালের ভিড়ে ,
জিভে দাঁতে বর্ণনাতীত ঘষটানি ,
ঊর্ধ্বে শূন্যে বেড়ালের ত্রিনয়ন ,আজ কৌতূহলহীন ...
মাছ খেতে খুব ভালোবাসি ,বলে অলজ্জ অভিলাষে আরোগ্যসন্ধানী কায়াতরু ডালে
ডাকাবুকো করালকামিনী ...
অশনিবরণী কুঞ্জকামিনী শিকারীবাহিনী
হা রে -রে -রে -রে ঢুকছে
করণিকের পাড়ায় পাড়ায় ...
অবিকল জাগ্রত স্বপ্নে দেখা ঈষত্ হারেম ...
থাকে নিরবধি, অন্নমতী রঙ্গমতী অমা নক্ষত্রমালিকা নীরাজনা
শেষে প্রাচীনতম করণিকতো থাকেই ...
নীল জল ,রঙিন উপল ,মায়াবী -মাধুরী এক করণিক দ্বীপ ,
অদ্ভুত পেঁচানো সিঁড়ি অন্তহীন নেমে গেছে
করণিকের পাড়ায় পাড়ায়
(ছবিঃ শিখা তারু)
সহজ প্রদীপের সুন্দর আলোয় চরাচর স্পষ্ট হয়ে উঠেছে । কবিকে আকণ্ঠ ভালবাসা জানাই ।
ReplyDeleteমায়াময়। সুন্দর উচ্চারণ।
ReplyDelete