কৃষ্ণ
-অনিমেষ সিংহ
তুমি বৈষ্ণব পদাবলী। সাঁঝের তারায় আঁকি তোমাকে।
বাহুডোর ছড়িয়ে, আবৃত করো তুমি,
আমার গ্রাম্য নদী ও তার, ডিঙিনৌকোগুলোকে।
বাতাসে, বেলেফুল ভাসে, চিকন শরীরে থমকে দাঁড়ায়,
চর্যাপদ
একতারা নিয়ে, ভাবি, বৈষ্ণবীর দুয়ারে যাব।
যাত্রাগুলো ফুরোয় না। সব্জীর দোকান, রেশান, অফিস, চুম্বন, সবুজ ও লালবাতি
- সবই, এগিয়ে চলে।
সার বেঁধে নৌকো চলেছে, জলের শব্দে ভাঙছে রাত
প্রাচীনতম শ্যাওলার গন্ধে ভরে উঠেছে আমার শরীর
চাঁদ খাচ্ছে আমাকে
রাত খাচ্ছে
নিস্তব্ধতা খাচ্ছে আমাকে
বেহেড মাতালের মতো, রাজপথ চলেছে
পাশে কেউ নেই
তাই একটিও ছবি আঁকিনি
হরপ্পা থেকে এসেছিলো, যে নারী
আজ সেও ত্রিধা বিভক্ত
জল জমি জঙ্গল।
কারো ওপর অধিকার নেই, আমার।
সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্যে একটি ঘোড়া এবং নিজস্ব মহাকাব্য প্রয়োজন
কোনোটাই আমার ছিলো না। বৈষ্ণবী, বুকের ক্ষত, তোমাকেই দেখাতে পারি
চন্দনের প্রলেপ দিও
এতো কালো আমি, কৃষ্ণ হতে পারি
(ছবিঃ ড্যান হারাগা)
No comments:
Post a Comment