মানুষের উৎস হিসেবে থাকার জন্য
আলোর উৎস হিসেবে থাকা, যখন ওরা তোমায় অবজ্ঞা করে চলেছে
আর দ্রবীভূত করে দিচ্ছে স্বাধীন শৃঙ্খলের ভারী শব্দে
মিষ্টি জলের সম্পদে।
আলোর উৎস হিসেবে থাকা, যখন ওরা তোমায় গিলে ফেলার চেষ্টা করছে
গহন রঞ্জন-রশ্মির সাহায্যে তুমি দেখতে পাচ্ছো ক্ষুধার্ত পিরানহা মাছেদের ব্লাডার
স্রোতের ভিতর তাদের গভীর চলাচল।
আলোর উৎস হিসেবে থাকা, যখন ওরা তোমায় শূন্যতায় ছুঁড়ে ফেলার চেষ্টা করছে
রাত্রির সমস্ত আলোকস্তম্ভে ওই অন্ধকার প্রচ্ছায়া, যখন
স্থিতিশীল বাম অংশে থেমে গিয়েছে গোচারণ
ডানে পূর্ণ রাত্রির অন্ধকার।
আর মধ্যভাগের কালো একটি রঙ
তাড়া করেছে আমাদের নতুন কাজের স্রোতকে
যাতে ওরা আলোর দিকে স্বার্থপরভাবে যেতে পারে।
একটি ভরন্ত ঘরে বোধগম্য এক ফাটল হিসেবে থেকে যাওয়া
মানুষের সামান্য ছোঁয়া-লাগা সামান্যতর এক শক্তিপ্রবাহে।
( তাজা ক্রমবার্গারের জন্ম স্লোভেনিয়ার লিউব্লিয়ানা নগরীতে, ১৯৭০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। গত শতাব্দীর নয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে জড়িত রয়েছেন স্লোভেনীয় সাহিত্যের সমস্ত শাখার সাথে। )
(ছবিঃ Dnevnik)