ঘোড়া ও রমণী
-প্রদীপ চক্রবর্তী
এক/
ক্রমশ মিশে যায় রক্ত ...
জগৎ যুগপৎ রক্তের আয়ু নিয়ে
মাখামাখি করে |
মিশে যায় সুযোগের ব্যবহার |
ক্রমশ শূন্য বিস্তৃত , ব্যাপক স্পন্দনে ...
'ক্রমশ ' শব্দটা একটা পথ ,
বহুদূর থেকে অরব হ্রেষায়
শরীর জড়িয়ে ,
স্থবির কুসুমিত |
সরীসৃপ , ঘূর্ণিতে নিরুপদ্রব
একটি মুখের ফোঁটা |
অথবা , শিল্পীদের আদিম গ্যালারিতে
ঘোড়া এঁকেছিল তারা |
একটা পথ | পঙক্তির ভেতরে রাখা |
মনসিজ শ্যামশূন্য বীজ | ভৈরবী জ্বরা |
কে তুমি ? মৃত্যুফুল্ল ?
অরণ্যঘ্রাণের আদিম মৃগমাটি |
হরিৎসন্ধানী ,
নখদন্তহীন ফুল ফোটা শুনতে পাই ...
দুই /
ঘোড়ার ভেতর জন্ম নিচ্ছে বাদা ও জঙ্গল | পিপাসা দৃশ্যত উৎসর্গ | তরঙ্গ - তরণি - পিপাসা প্রাচী বীজের জিভে জড়ানো | ঝরা পাতা দুনিয়ার রঙ
জানি না এর শেষ কোথায় !
জগৎ পরিধি অগণন ঝরাপাতায় |
কত সহজ , কত হাত , খুনির কদরে স্বর্গীয় |
পীতপুষ্পরাগমণি নিয়ে এসো | নিয়ে এসো কৃশকায় রক্ষী |
এমন বিনাশমুখ চক্রবালে রমণী বিন্দু
ধীরে বাতাসে ভর করে তোমাকে জাগিয়ে বলবে -----
' ঈষৎ খেলা | অসংখ্য দেউল | জ্বলছে দ্রুত দূরযায়ী ' !
অহংএর নীচে চোরাবালি সূচনায় চলে |
তার আবছা ,
বৈভবে কাঁপে |
নিরুত্তরে | আঘাতে আঘাতে |
নৈঃশব্দে ,
পরিযায়ী পিঁপড়ের মতো ...
( ছবিঃ লাগুনা তাম্রলেখ, সৌজন্যঃ ফিলিপাইন্স পুরাতত্ত্ব বিভাগ )