Sunday, 16 December 2018

মৃগশিরার মাসের কবিতা ১৬

Related image


আঁটো কবিতার ফিলিং 
                               -নীলাব্জ চক্রবর্তী



শোক
তাঁকে অভিজ্ঞান দিয়েছেন
ভাষার ভেতর
মাঝবরাবর পড়ে থাকা
অধিবৃত্তের সমীকরণ আর লোকাস দিয়েছেন
সম্পর্কপ্রবণ
মাংসপ্রতিমার গায়ে এঁটে থাকা
এই এক প্রতিমাংসল ফ্রেম
দেবশর্মণে দেবে দেবান্তে
মৃত শব্দদের পোশাক বদলানো হচ্ছে তখন
আর
সূর্য পড়ছে
পাতাদের চোখে
আঁটো কবিতার সেই ফিলিং পড়ছে...

( ছবিঃ তেলোহ্‌ প্রি-কিউনিফর্ম  মৃৎলিপি, সৌজন্যঃ লুভ্‌র মিউজিয়াম )

মৃগশিরার মাসের কবিতা ১৫

1

দুটি দৃশ্য
             -সুপর্ণা মণ্ডল


১.

কি বলবো আর
সব কথা উবে যাচ্ছে দৃশ্যা খোলা পেয়ে
উবে যাচ্ছে দিন

রক্তিম কিছু স্যান্ডেল আর অনবরত চড়াই
একদিকে ভাঙছে একদিকে গড়ছে কারিগর
ইঁটের উনুনে ভাত টগবগ করে ফুটছে।

অন্ধ হলেও বা কি বলার থাকত
যা অনুভব করছি তা-ই ছাড়া!

২.

কোথায় যাচ্ছি কি করছি
অভ্যােস চালিয়ে নিচ্ছে
আমি চলছি না সবসময়
আমাদের খাওয়া কখন শেষ হয়
কাকেরা তা জেনে যায়
শিশুদের লুকোচুরি খেলার মাঝে
হঠাৎ হারিয়ে যাচ্ছে কেউ
শিউলিফুল মাড়িয়ে
গানের স্কুলের পিছন দিয়ে
একটা ইঁদুর চলে গেছে বলে
এপাড়ায় বিড়ালের গতায়াত বেশি।





( ছবিঃ উত্তর পাইসিন শিলালিপি, সৌজন্যঃ লিস্টভার্স )

মৃগশিরার মাসের কবিতা ১৪






ঘোড়া ও রমণী 
                          -প্রদীপ চক্রবর্তী


এক/

ক্রমশ মিশে যায় রক্ত ...

জগৎ যুগপৎ রক্তের আয়ু নিয়ে
                                 মাখামাখি করে |

মিশে যায় সুযোগের ব্যবহার |
ক্রমশ শূন্য বিস্তৃত , ব্যাপক স্পন্দনে ...

'ক্রমশ ' শব্দটা একটা পথ ,
বহুদূর থেকে অরব হ্রেষায়
শরীর জড়িয়ে ,
স্থবির কুসুমিত |
সরীসৃপ , ঘূর্ণিতে নিরুপদ্রব

একটি মুখের ফোঁটা |
অথবা , শিল্পীদের আদিম গ্যালারিতে
ঘোড়া এঁকেছিল তারা |

একটা পথ | পঙক্তির ভেতরে রাখা |
মনসিজ শ্যামশূন্য বীজ | ভৈরবী জ্বরা |
কে তুমি ? মৃত্যুফুল্ল ?
অরণ্যঘ্রাণের আদিম মৃগমাটি |
হরিৎসন্ধানী ,

নখদন্তহীন ফুল ফোটা শুনতে পাই ...


দুই /

ঘোড়ার ভেতর জন্ম নিচ্ছে বাদা ও জঙ্গল | পিপাসা দৃশ্যত উৎসর্গ | তরঙ্গ - তরণি - পিপাসা প্রাচী বীজের জিভে জড়ানো | ঝরা পাতা দুনিয়ার রঙ

জানি না এর শেষ কোথায় !
জগৎ পরিধি অগণন ঝরাপাতায় |
কত সহজ , কত হাত , খুনির কদরে স্বর্গীয় |
পীতপুষ্পরাগমণি নিয়ে এসো | নিয়ে এসো কৃশকায় রক্ষী |

এমন বিনাশমুখ চক্রবালে রমণী বিন্দু
ধীরে বাতাসে ভর করে তোমাকে জাগিয়ে বলবে -----
' ঈষৎ খেলা | অসংখ্য দেউল | জ্বলছে দ্রুত দূরযায়ী ' !
অহংএর নীচে চোরাবালি সূচনায় চলে |
তার আবছা ,
                 বৈভবে কাঁপে |
নিরুত্তরে | আঘাতে আঘাতে |
নৈঃশব্দে ,
         পরিযায়ী পিঁপড়ের মতো ...



( ছবিঃ লাগুনা তাম্রলেখ, সৌজন্যঃ ফিলিপাইন্স পুরাতত্ত্ব বিভাগ )

মৃগশিরার মাসের কবিতা ১৩

File:Ateshgah door 18 inscription.png

কবিতা,যা কবিতা নয় 
                       -জয়ীতা ব্যানার্জী গোস্বামী

(১)

অপেক্ষার মতো অবাধ্যতা আর কিছুতে নেই । বড় বেশি একরোখা,যাদের প্রেম ছেড়ে যায় ।

শীত,বরফ,কুয়াশা-এসব শব্দ নিয়ে আমি আর লিখবো না,ভাবি । লিখি খাদ,লিখি গড়াতে গড়াতে ছোট হয়ে আসা ।

প্রিয় প্রিয় ভ্রমণ,তোমায় বসিয়ে রেখে পাইনের বনে,জেনো এবছরও শহরমুখী হবো ।

খোঁজ নিও। গাছেরা তো জানতে দেবে না । আমাকে কি কিনে নেওয়া সহজ ভীষণ,জাদুমণি ?

(২)

চমৎকার কিছু লিখে ফেলবো, এ অহংকারে আমার আর লেখা হয় না । বিকেলের মুখোমুখি বসে ছ আনার দিন গুজরানে টুকে নিই সূর্যাস্ত,আকাশবাতি,পাখিদের ফেরা।

"আলস্য কি অজুহাত!  অজুহাত কি প্রিয় বিষয় নয় ?"

আমাকে পড়তে পেরে সবথেকে খুশি হতো যে,তার চোখে চোখ রেখে এটুকু বলতে চেয়ে দেখি,এক আস্ত জন্মদিন হাত থেকে পড়ে ভেঙে গ্যাছে ।

( ছবিঃ আতেশগাহ শিলালেখ, সৌজন্যঃ উইকি )

মৃগশিরার মাসের কবিতা ১২

Related image

কমলালেবু রোদবার
                           -সুকল্প দত্ত


ছিঃকথা তুফান তুলে ম‍্যান্ডোলিনি ড‍্যানিয়েলা খাস্তগীর খাস্তা কচুরিপানা
আইব্রো কুশানযুগ,ছাঙ্গুভ‍্যালি সাজ
মিলি মিলি শেয়ারবাজারে
কত রং
নাম্বার ছড়িয়েছি আজতক
ড্রাইভে দুরু দুরু যেতে পারি
হাইওয়ে টলটলে টুল পেতে বসেযেতে
থলে হাতে কমলালেবু রোদবার।

( ছবিঃ পহ্লবী শিলালিপি, সৌজন্যঃ ব্রিটানিকা )

মৃগশিরার মাসের কবিতা ১১

estampage-senarath-পারানাভিতানা-palumakichchava-শিলালিপি-Anuradhapura-শ্রী-শ্রীলঙ্কা-chandima-ambanwala-পুরাতত্ত্ব-LK-3

শ্বাসাঘাতের সাম্রাজ্য
                                    -হিয়া


ঘমণ্ডীর অঞ্চলে দাঁড়িয়ে প্রত্যাদেশ
দিচ্ছিলাম,
“যাও গিয়ে সৈন্য যোগাড় কর।“
ইনিয়েবিনিয়ে কথা বলা প্রেমিক
রাগীরূপ ছেড়ে ডিপি বদলাল
ভেলভেটি প্রেমিকার মন গলাতে।
প্রেমিকা ততক্ষণে শীতকালেই চড়ে বসেছে
গ্রীষ্মকালের বাইক-
দ্রবীভূত নোনা জলে প্রেম তখন বিপ্লবী প্রজা
(হে হে, বাকি প্রেমিকেরা মোজা!)
ভুলন্ত মনে সবকিছু শুকোলেও
আঙুর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় না সব শেয়াল!
গৃহযুদ্ধ বাড়লে তুর্কীদের দোষ দেওয়া যায়
কী?


(ছবিঃপলুমুকাতুকা শিলালিপি, সৌজন্যঃ শ্রীলঙ্কা পুরাতত্ত্ব বিভাগ)

মৃগশিরার মাসের কবিতা ১০

Image result for old tibetan inscription


অগ্রহায়ণ
                 -তন্ময় ধর

তোমার শ্বাসকষ্টের মতো অল্প শীত
হাঁটতে থাকে

জাতিস্মর এক গন্ধের ভেতরে
অপ্রয়োজনীয় আলোর মুখোশে
মৃদ্‌ভেদী এক মৃত অঙ্কুরোদ্গম

এত জাফরানরঙা
   স্মৃতিকাতরতা থেকে
পায়ের ধানের গন্ধ তুলে নিচ্ছে শূন্যতা

এতই ঊর্ণনাভ-সুখ
দেহের আবাদি শিখছে গর্ভফসলের ওপারে

আমি গিলে ফেলি কালপুরুষ-অভ্যেস





(ছবিঃ সারদা লিপি, সৌজন্যঃ উইকি) 

মৃগশিরার মাসের কবিতা ৯

Related image

আরো একটা শিরোনামে ডাকা যেত
                                           -শুভঙ্কর পাল

আমি সভ্যতার কাছে নুন ভিক্ষে চাই
শিল্পিত আদলের
শীত গাছেদের সেই নতজানু মুখগুলি
ওদের বরফ ভাঙছে নুনের পরকীয়া প্রেমে!
অংশত রোদেদের বারোয়ারী পরবে জানালা কাহাতক খুলগায়ি
সেই বিরাম এঁকে দেবার ঈশ্বরের সেনারা পালিয়ে যাচ্ছে যাহাতক আঁখে
চলতি...।

( ছবিঃ অ্যাসীরিয় কিউনিফর্ম লিপি, সৌজন্যঃউইকি)

মৃগশিরার মাসের কবিতা ৮

Image result for cuneiform script

নির্বাসন 
             -পিয়ালী বসু ঘোষ 


নির্বাসন থেকে ফিরে আমি কি করবো !
ছোট ছোট শহরে বিষন্ন গিটার বাজলেও
ম্যাজিকাল কিছু ঘটবে না

বুকের ভিতরে যে আশ্চর্য ম্যাজিক দেখে,একটা আস্ত যাদুঘর বানিয়েছিলে কখনও
এসো এবছর সেখানে শীত জড়ো করি

এরপর, কখনও বসন্ত আসবে না জেনে
বোকাসোকা আয়নায় তাক করে
একটি মেয়াদোত্তীর্ণ পিস্তল থেকে অবিরাম আক্ষেপ ছুঁড়ি

(ছবিঃ কিউনিফর্ম লিপি, সৌজন্যঃ উইকি)

মৃগশিরার মাসের কবিতা ৭



রোদঘড়ি এবং ছায়ার কিংবদন্তি 
                                           -বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়  

বর্ধিষ্ণু  বেলার দিকে গড়িয়ে যাচ্ছে  ভাতঘুম 
আলস্য  ঠিকরে প্রশান্তি  এনে দিচ্ছে জন্মান্তর
তার কোন হাতঘড়ি  নেই
সময়ের ফিতে দিয়ে কেউ বাঁধবে না তাকে এই অবেলায়

তবু পৃথিবী  ঘুরছে
রোদ পুড়তে পুড়তে
ছায়ার কিংবদন্তি  ইতিহাসে ঢুকে যায় নিভৃতে

ঘুম
এক পশলা ঘুমের ভেতরেও ছড়ি ঘোরাচ্ছে জাতিস্মর  ছায়া

রোদ নিভে আসছে।

( ছবিঃ খরোষ্ঠী লিপি, সৌজন্যঃ অনুশীলন আন্তর্জাল )

মৃগশিরার মাসের কবিতা ৬



শীতকাল
                -হাসান রোবায়েত



কিভাবে তোমাকে বলি !

শিউলি গাছ বলে কিছু নাই
আদতে সবই ভাষা—

কেশর ফোলা এক লুব্ধক প্রতিদিন আলো ঘষছে এপিটাফে



( ছবিঃ মাইসেনিয়ান শিলালেখ, সৌজন্যঃ আলোর মিছিল আন্তর্জাল )

মৃগশিরার মাসের কবিতা ৫




বেওকুফ
            -পিয়াল রায়


সবকিছু আমি দেরিতে  বুঝি

যেমন ধরো ছুরি থেকে মাংসের দূরত্ব
অথবা
আকাশ হারিয়ে ফেলা বোকাটে পাখিদের

সঙ্গীদের ছন্নছাড়া পালকের মধ্যেও
কী নিদারুণ নিশ্চিন্তে চোখ বুজে
ঘুমোতে পারে  !

এ বয়সে এসেও প্রাক্তন পাখিদের ফুলো ফুলো ঠোঁট
পুড়তে থাকে তামসিক জ্বরে
আর ঝুড়ির ভিতর চলে সমর্পণের মহরত


ছুরি থেকে মাংসের দূরত্ব ক্ষীণ হয়ে আসে

তবু কী অসীম উচ্ছাস
  পাখিদের সাথে পাখিদের

এসব আমি দেরিতে বুঝি

এমন দেরিতে

যখন আর না বুঝলেও চলে

( ছবিঃ মেরোয়াতিক শিলালেখ, সৌজন্যঃ আলোর মিছিল আন্তর্জাল)

মৃগশিরার মাসের কবিতা ৪




ব্যবধান
        -দেবারতি চক্রবর্তী



আমাদের দূরত্বগুলো

প্রজাপতি না পেয়ে ম্লান হয়ে গেছে

নাম না জানা অস্থির অঞ্চলে

এপার ওপার বেনামি চিঠি

তখনও রাত মেঘলা আকাশ চাঁদ ওঠেনি

ডাকঘর

বন্ধ।

(ছবিঃ প্রাক-এলামাইট শিলালেখ, সৌজন্যঃ আলোর মিছিল আন্তর্জাল) 

মৃগশিরার মাসের কবিতা ৩

Related image

হেমন্তের ডাহুক 
                  -শিবু মণ্ডল 


রাতের ঢাকনা খুলে বেরিয়ে আসা ডাহুক
তার আর কী আছে?
অক্ষর ধবনি, মুছে যাওয়া সঙ্গমরীতি
আরমাফলারে ঢাকা শীতসুখ

ঘুম ভেঙ্গে বেরিয়ে আসা শমন
তার আর কী আছে?
বন্ধ হয়ে থাকা ঘড়ি, তার থেকে বেরিয়ে যাওয়া গান
আর জলহীন নল খুললেই অনন্ত ভ্রমণ !

কার্ত্তিক খুলে বেরিয়ে আসা তারামণ্ডলের মধ্য দিয়েই
একফোঁটা জল হেঁটে যায় শিশিরের পথে
ঘরে ঘরে জ্বলে ওঠে দীপাবলি আলো
বটগাছের বেদীতল থেকে শুরু হওয়া নগরকীর্তন
ভাঙা ঋতু হাতবদল করে নেয় অবস্থানটুকু

( ছবিঃ ব্রাহ্মী শিলালিপি, সৌজন্যঃ ওয়েবদুনিয়া )

মৃগশিরার মাসের কবিতা ২

Image result for kharosthi lipi

এক টুনটুনি কবিতা
                          -জ্যোতির্ময় বিশ্বাস


একটা সাদা কাগজের-ফুল
দুলের মত
দুপুর নির্ভার ক’রে ঝুলে থাকছে

এখন খুব খুকুভাব মনে
এখন কেন কথা বলতে চাও; অবেলায়।

                                          




(ছবিঃ ব্রাহ্মী শিলালিপি, সৌজন্যঃ রিভোলভি)



মৃগশিরার মাসের কবিতা ১


Related image

হে বেওয়ারিশ
                 -জ্যোতির্ময় মুখার্জি

#
এইসব চাঁদমারি রাতে
মারিব মরিব। দুজনেই ভিনদেশি

ঢুকে পড়ছে খোলা জিভ। বেইমান
ওরাও মাদল হতে জানে


ওপারে যাবার ছলে ঠোঁটগুলো সব চুমু হয়ে গেল


#
ঢেউ দিয়েছে নদী
ক্ষমা করো। ক্ষমা করো। হে বেওয়ারিশ
এলোমেলো। স্তন খোলো। পালক রেখো না


#
তোমারো কি মনে হয়?
প্রতিটা দরজাই আদতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা ঈশ্বর?

আদতে ভাসমান। বাড়ন্ত হা


ক্ষতটুকু মুছে নিলে
মাপজোক। কায়া-ছায়া। বেঢপ আয়না

( ছবিঃ হায়ারোগ্লিফিক লিপি, সৌজন্যঃ পিন্টারেস্ট ) 

মৃগশিরার মাসের অনুবাদ কবিতাঃ আইসল্যন্ড থেকে গের্ডার ক্রিস্টনি

Related image


উত্তর

স্পার্ম তিমির মত ধীর
আমরা ভাসছি বিষন্নতার ভেতর দিয়ে
যেটা শাদা
এখানে ঊষর প্রান্তরের উপরে

এটা নিজেকেই ধরে রেখেছে
শুধুমাত্র
এক অলখ নিক্ষেপে

এক মুহুর্তের জন্য তারা ঝলকানি দিচ্ছে
পথের ধারে
যেন ছোট্ট কিশোরীর দেশলাই
রূপকথার ভেতর
আমাদের আলোকিত করছে 
যতক্ষণ না আমরা ফিরে আসি 
এই বরফের গর্তে
একটু শ্বাস নেওয়ার জন্য 

( সুদূর মেরুবৃত্তের দেশ আইসল্যন্ডের নব্বই দশকের কবি গের্ডার ক্রিস্টনি। ১৯৭০ সালের ১০ জুন রেইকজাভিক শহরে তাঁর জন্ম। কবিতা, গল্প, নাটক -সব মিলিয়ে এযাবৎ কুড়িটি বই প্রকাশিত হয়েছে গের্ডারের। বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে তাঁর কবিতা। ভিক্টোরিয়া ক্রিব কৃত ইংরেজি অনুবাদের মধ্যস্থতায় কবির "NORÐUR" কবিতাটির অনুবাদ করলেন উষ্ণিকের সম্পাদক )

(   ছবিঃ Bókadeildin)

মৃগশিরার মাসের কবিতা

এই মাস মৃগশিরা নক্ষত্রের মাস। পুবের আকাশে ভাসছে কালপুরুষের আলো। প্রথম শস্যের গন্ধে উজ্জ্বল হচ্ছে ভোরের শুকতারা। কুয়াশার আবছা চাদর সরিয়ে এই গাঢ় সময়ে বাউলরঙা আলোয় কবিতা লিখলেন পিয়াল রায়, নীলাব্জ চক্রবর্তী, পিয়ালী বসু ঘোষ, প্রদীপ চক্রবর্তী, তন্ময় ধর, জয়ীতা ব্যানার্জী গোস্বামী, জ্যোতির্ময় মুখার্জী, হাসান রোবায়েত, বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়, শিবু মন্ডল, দেবারতি চক্রবর্তী, হিয়া, জ্যোতির্ময় বিশ্বাস, সুকল্প দত্ত, সুপর্ণা মন্ডল এবং শুভঙ্কর পাল। সুদূর মেরুবৃত্তের তুষাররাজ্য আইসল্যন্ড থেকে নব্বই দশকের কবি গের্ডার ক্রিস্টনি রইলেন অনুবাদে। 
                             
Related image