ব্যক্তিগত তৃণগুলি
-পিয়ালী বসু ঘোষ
শেষ কবে রাতের ভিতর রাত দেখেছি মনে নেই ।মনে নেই আমার শরীরের ভিতর অপেক্ষার পয়গমগুলো শেষ কবে চাদরে ঢেকে ঘুমিয়ে পড়েছি অবশেষে ।শেষ কবে কবিতা গদ্যের শরীরি বিভাজিকা মুছে নতুন সন্তানের স্পর্শসুখ পেয়েছি.....মনে নেই। মনে নেই,কিচ্ছুটি মনে নেই ।
ব্রিফকেস ভর্তি সোনার বিস্কুটের মত টুকরো টুকরো মন চিকচিক করছে লোভে,স্পৃহায় আর আদর নামক আশ্চর্য মোহের দাগে । একটা মেঘলা বারান্দায় আজন্ম বসে আছি নিমগ্ন ।সেই নিমগ্নতার গায়ে ছোট ছোট ফ্রিল করা সাদা লেস বাতাস লেগে দুলছে । এমন গল্পগুচ্ছের বিকালে মুঠোভর্তি অসুখ কবিতা হয়ে উঠতে চেয়েও পারেনা ।একক আত্মনিষ্ঠ মৌল এক ভাষাদেহ কপট চিত্র আঁকে ।মুছে যায় বেলা অবেলার নির্বিকল্প প্রহরা ।নিদ্রাহীনতার চেয়ে গাঢ় কিছু, কুচফলের মত বাটোয়ারী জীবনে গা-ধোয়া জলের রঙে নেমে আসে । মুছে যায় ছলাকলা,প্রহরা।
গত রাতের তিন পেগ ম্যাজিক সীমান্তরেখা মুছে হুশ করে ঘুরে আসে পৌষের ভাঙা মেলার দাগ খুঁজে । বাঁশি পড়ে থাকে ধুলায়....ডাঁট ভেঙে যায় কলমের। হাতফেরতা ছলটুকু আশিরনখ রোমাঞ্চ আনে ।বন্যা নামে অসময়ে....ভেসে যায় প্রগাঢ় কিছু অসুখ ..ভেসে যায় কুচফল সুখ ।
(ছবিঃ গণেশ হালুই )
No comments:
Post a Comment