নাড়ির টান
-উমা মন্ডল
আজ সূর্যটা ভিজে জল থেকে উঠে এসেছে ,
কৃষ্ণচুড়ার পাতায় ড্যাম্পের দাগ
চোখ রাঙায়।
কালো চশমা কি দুঃখতারণ মধুসূদন
তাহলে তুলসী দেবো পায়ের পাতায়।
তবুও টান এগিয়ে চলে জলের মতো ,
প্রায় মুছে যাওয়া পা
নাড়ির সুতো ধরে এসে বসে।
কলার পেটোর ওপর ঝুরো গাঁদা
স্তব পাঠ করে ,
থালা ভর্তি মিষ্টান্ন আসে
ঋণ শোধ করার ছলে,
তবুও কেঁদে ওঠে!
নেহাতই নতুন অভিনেতা
মঞ্চের অন্ধকারকে জয় করতে শেখেনি।
আরও স্রোত আসে অকাল-বেলায়,
চোরাস্রোতে ডুবে যাওয়া ডিঙি নৌকা যে হারিয়ে যাবে এ লিখন চিরন্তন।
ঘষে ঘষে তুলে দিতে চায় সাদা বরফ,
রক্ত যদি জমাট বাঁধে
তাই চেপে ধরে।
কালচে অধ্যায়ের জীবন-পঞ্জিকা আরও কঠিন
জটিলতা বেড়ে যায়।
বহুভূজে প্রত্যেকদিন নতুন একটা ক্ষেত্রফল উড়ে আসে,
গায়ে লেখা লুপ্তপ্রায় কিছু শব্দ
এখন অশৌচ সমাপ্ত করতে বাধা নেই,
জন্মান্তরের পাঠ পড়া হয়ে গেছে।
তবুও যদি আকস্মিক-
বন্ধ্যা আগ্নেয়গিরিথেকে উঠে আসে,
তার আগেই সমস্ত চিত্র অঙ্কণ করে রাখেন
ভ্যান গঘ....
(ছবিঃ গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর )
No comments:
Post a Comment