প্রশ্ন
-প্রদীপ চক্রবর্তী
নেশাতুর তুমি | অপরিহার্য নেশার মতো
জলের মৃত ইনকাদের সভ্যতায়
এখনো লেগে আছে অতীত শীৎকার |
নেশাতুর কুহেলি পৃথিবীতে ,
সব কিছু ছায়াছায়া |
ঘন দেহান্তর ঘটেছে নেশার লালায়
তোমার আমার সূক্ষ্ম দ্রবণে ...
নেশাতুর তুমি |
দুমুঠো ভাতের গন্ধে আকাশেও দ্যাখো
খিদের অভিসার |
অথৈকে অনল কোরকে রেখেছো |
নিজেকে পোড়ানোর ধোঁয়াময় তূরীয়তা ...
এই বুঝি মনের প্রকোষ্ঠে কাটাছেঁড়া ...
তল থেকে ভেসে উঠে আসছে ,
মহাপৃথিবীর টানা ও পোড়েনে আছে
রকমপাড় নকশা , ডুরে , সহজাত কবিত্ব কুন্ডল !
যতবার তুমি তাদের কাছে নিজেকে মেলে ধরেছো ,
তারা তোমাকে নিঃস্ব করেছে স্বরচিত টাটকা রক্তের ধারায় ...
তুমি তো শেখোনি ব্যবহারবিধি | বহুদূরের বীজবোনা ,
জল দেওয়া ফসল আগলে রাখা মন |
দেশের রোদে হাঁটেন রাজরানী |
বেনেতির হরেক জিনিস |
একদিকে যখন এরকম কথা হয়
আবার অন্যদিকে তোমার আড়ালে তুমিই নিজেকে বিকিয়ে দাও ফের |
অবিক্রিত নেশার পাচন তো দিয়েছে মন !
তবু আপৎকালে তরতাজা মেয়েটিকে কূটনোর মতো খন্ড খন্ড কুটলে কেন বাংলা কবিতার মৃৎপাত্রে , দিশি রাজা অয়দিপাউস ?
(ছবিঃ মাইকেল করিন্নে)
No comments:
Post a Comment