কনসেনট্রেশন ক্যাম্প
-জ্যোতির্ময় মুখার্জি
জানলার ধারে বসেছিলাম। একটা বিরক্ত সকাল থেকেই। মেয়েটার শরীর খারাপ। কান্নার সাথে আড়িপাতা মেয়েটা হঠাৎ ভাব করে ফেলেছে কান্নার সাথেই। সাথে খাওয়া দাওয়া বন্ধ অথচ খেতে খুব ভালোবাসে
সময়টা এভাবেই কেটে যাচ্ছিল বা কাটছিল না। জানলায় মুখ রেখে বা জানলা থেকে অনেক দূরে একটা ঘুড়ি উড়ছিল। আপন মনেই। অথচ কিছু কুচো বাতাস ঘুড়িটাকে কিছুতেই আপন হতে দিচ্ছিল না
জানলা জুড়ে একগোছা সবুজ। তন্বী কুলগাছ। শরীর স্বাস্থ্য বেশ ভালোই। যুবতীর শরীর বেয়ে উঠে এসেছে কিছু দামাল লতা। ওরা হয়তো আমাকে দেখছিল বা নিজেরা মশগুল। তাতে অবশ্য আমার কিছু যায় আসে না। ওদেরও
মানকচু ঝোঁপ আর কচুরিপানার ভিড় ঠেলে হাঁসেরা কিন্তু বেশ জমিয়ে ফেলেছিল ওদের বিরতিকালীন প্যাঁকর্ প্যাঁক্। ধ্যুস্ বিরক্তিকর। এরচেয়ে পানাজলে ঢেউ ঠেলে আধেক বিরতি অনেক আলো
ফড়িংটা তখনও উড়ছিল। বাতাস মনেই। আমি একটু আগেই ওকে ঘুড়ি ভেবেছিলাম। অবশ্য হেলিকপ্টার ভাবলেও খুব একটা ক্ষতি ছিল না। এসব পোকামাকড়দের ডিসিপ্লিনে সদ্য প্রেমিকাকে কামড়ে দিলেও রক্ত ঝরে না
আফটার অল্ আমরা যারা মুখ লুকানোর মতো জঙ্গল খুঁজি বা শরীর ভিজবে বলে জল। তাদের কখনো স্লোগান হতে নেই। রিপিটেশন্ ইজ্ আ তীব্র অসহ্য কনসেনট্রেশন ক্যাম্প। প্যান্ট ভিজবে জেনেও যেভাবে ডেসপারেট হয় তলপেট
সেইভাবেই মোবাইলটা প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে উঠে গেলাম বাথরুমে। জানলা নেই। দরজা বন্ধ। আধোআধোআলোকালো। ঝাঁঝালো গন্ধ
এসব নাস্তিকের সংসারে ঈশ্বর কখনো আদল বদলায় না
(ছবিঃ মিরিয়াডনা গ্যালারি)
অসাধারণ লেখা ❤️
ReplyDeleteধন্যবাদ।
Delete