তিতলি সভ্যতার কথা
-রঙ্গন রায়
তিতলি একটি নদীর নাম। নদী একটি সভ্যতার নাম। আর একথাটা তো সবাই জানে যে সভ্যতার সৃষ্টি হয় নারী থেকে। অতএব এটা বলাই যায় যে তিতলি নদীর ধারে নদী নামে একটি সভ্যতা ছিল। তাতে বসবাস কারী প্রত্যেক নারীর নাম তিতলি। যেহেতু নদী একটি তিতলিমাতৃক সভ্যতা তাই সকল পুরুষ সেখানে প্রেমিক ছিল। প্রতিবছর তিতলির হাসিতে নদীর জমি উর্বর হত। চাষবাস ও ফলন ভালো হত খুব।
কিন্তু তিতলিরাও বৃদ্ধা হয়। তিতলির স্রোত হঠাৎ করে যেন হারিয়ে গেলো দূর বনতলে কোনো মরুভূমির ভেতর। প্রেমিকা না থাকলে প্রতিটি পুরুষের গভীর অসুখ হয়। নদী সভ্যতা যাযাবর হয়ে যায়। কত অজানাকে খুঁজে দেখার নেশায় তারা বেরিয়ে পরে পথে। হাঁটার সময় যত নদীই তারা দেখে সবার নাম দিয়ে বেরায় তিতলি। গোটা পৃথিবীর যতটা তারা হেঁটেছিলো সেসবই তিতলি সভ্যতা নামে পরিচিত হয়।
আর সেদিন থেকেই আজও প্রকৃত পুরুষেরা তিতলিকে খুঁজে বেরায়। তিতলি সমগ্র সভ্যতার নাম হলেও সেই যে তিতলি হারিয়ে গেছিলো প্রাগৈতিহাসিক যুগে , সেটা কে খুঁজে বের করবে?
সন্ধান জারি আছে। সন্ধান সর্বদা জারি থাকে। আর তাই প্রতিটি পুরুষ এখনো প্রেমিক হয়ে উঠতে চায়। আর প্রতিটি নারী , তিতলি।
(ছবিঃকীথ ডটসন)
একটি নিটোল জ্যামিতির সুরভি মাখানো মধুর অথচ সংহত আবেগসিদ্ধ রচনা । অন্তর্গত চিন্তার দর্পণে লেখকের আত্মগত চিন্তার সার্থক প্রতিফলন ।
ReplyDeleteধন্যবাদ
Delete