Wednesday, 28 November 2018

আকাশপ্রদীপের অনুবাদ কবিতাঃ বুলগেরিয়া থেকে একাতেরিনা কারাবাশেভা

Related image

এই হল সেটা
     
যেটা আমরা বর্ণনা করতে পারি না-
এটা টাইল-ঢাকা ছাদে অলস বৃষ্টির মতো
ফুলে ওঠা রাতে একটি প্রাণিত শিখার মতো
কাব্যময় এক বাতাসের মতো, আবৃত্তি চলছেই
ইন্দ্রধনুর এক ঝলকের মতো, এই জগতের এক প্রান্ত থেকে অন্য জগতে

এতটাই সহজ এবং এতটাই জটিল।
আকাশে তারাগুলোর মতো জ্বলন্ত,
ঝড়ের ভেতর চঞ্চল বিদ্যুৎশিখার মতো
পাহাড়ের শীর্ষে একটি পরিচিত ফুলের মতো
সূর্যাস্তকালীন সৈকতে একমুঠো অপরিচিত বালির মতো।

এতটাই পরিষ্কার এবং এতটাই অস্পষ্ট।
তোমার বুকপকেটের লেডিবার্ডের মতো,
স্বচ্ছ সমুদ্রের গুঞ্জনরত তরঙ্গের মতো,
অন্ধকার বনের মধ্যে তোমার স্মৃতির প্রতিধ্বনির মতো
যেন পৌরাণিক কাহিনী, তুমিই যেন বৃক্ষকথিত মৌনতা।

এতটাই চমৎকার এবং এতটাই বাস্তব।
সূর্যের গোপন আঁখিপাতের মতো
চাঁদের আয়ুর সাথে তোমার কথোপকথনের মতো,
দুধ-ছায়াপথ থেকে একমুঠো নক্ষত্রের স্বপ্নের মতো,
ঠিক ওই নক্ষত্রগুলোকে তুমি যেমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছো।
এইই হল।
প্রকৃতি।

( বুলগেরিয়ার সোফিয়া শহরে একাতেরিনা কারাবাশেভার জন্ম ১৯৮৯ সালের ১৯ অগস্ট। শৈশব থেকেই বিভিন্ন দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ, পুরস্কারপ্রাপ্তি এবং খ্যাতির পাশাপাশি নিজের কবিতার উৎকর্ষকে এক অনন্য মানে নিয়ে গিয়েছেন একাতেরিনা। ইংরেজি-জার্মান-রুশিয়ান-রোমানিয়ান সহ অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে তাঁর কবিতা। 'কাসেলোদুইনোপোয়েসিয়া'র ওয়েবপাতার ইংরেজি অনুবাদের মধ্যস্থতায় বঙ্গানুবাদ করলেন উষ্ণিকের সম্পাদক)

আকাশপ্রদীপের মাসের কবিতা ১

Image result for evening fog

ক্ষয়িষ্ণু
         -অভ্রদীপ গোস্বামী

বারুদে প্রভুর হাত ছিল
যোনিতে প্রভুর হাত ছিল
আমার কলমে ছিল নুন আর খর তরকারি


এ বিশ্ব প্রভুর নির্মাণ
তোমার স্তনদুটি মায় বৃন্ত সৃষ্টিকর্তা প্রভু
আমার সমর্পনে রয়ে যায় ছায়া আর পাতাঝরার     আকুতি


প্রভুকে বারুদ দাও
প্রভুকে যোনিগন্ধ দাও
আমার জন্য রাখো দাওদাও আগুন
জলে জলে নেভানো ছাইয়ের দই


আমাকে সৃষ্টি করো স্তনবৃন্ত আঁকো
আমাকে নস্যাৎ করো জড়িবুটি বশীকরণে
আমাকে ত্যাজ্য করো বিধর্মী ইমারত করো
প্রভু আর আমি মিলে বারুদের ভেতর শুঁকি যোনিগন্ধ
যোনির ভেতর খুজি নুন আর খর তরকারি...

( ছবিঃ স্যাগি ওয়াগন ট্রেইল) 

আকাশপ্রদীপের মাসের কবিতা ২

Image result for evening fog

কনসেনট্রেশন ক‍্যাম্প
                       -জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি

জানলার ধারে বসেছিলাম। একটা বিরক্ত সকাল থেকেই। মেয়েটার শরীর খারাপ। কান্নার সাথে আড়িপাতা মেয়েটা হঠাৎ ভাব করে ফেলেছে কান্নার সাথেই। সাথে খাওয়া দাওয়া বন্ধ অথচ খেতে খুব ভালোবাসে

সময়টা এভাবেই কেটে যাচ্ছিল বা কাটছিল না। জানলায় মুখ রেখে বা জানলা থেকে অনেক দূরে একটা ঘুড়ি উড়ছিল। আপন মনেই। অথচ কিছু কুচো বাতাস ঘুড়িটাকে কিছুতেই আপন হতে দিচ্ছিল না

জানলা জুড়ে একগোছা সবুজ। তন্বী কুলগাছ। শরীর স্বাস্থ্য বেশ ভালোই। যুবতীর শরীর বেয়ে উঠে এসেছে কিছু দামাল লতা। ওরা হয়তো আমাকে দেখছিল বা নিজেরা মশগুল। তাতে অবশ্য আমার কিছু যায় আসে না। ওদেরও

মানকচু ঝোঁপ আর কচুরিপানার ভিড় ঠেলে হাঁসেরা কিন্তু বেশ জমিয়ে ফেলেছিল ওদের বিরতিকালীন প‍্যাঁকর্ প‍্যাঁক্। ধ‍্যুস্ বিরক্তিকর। এরচেয়ে পানাজলে ঢেউ ঠেলে আধেক বিরতি অনেক আলো

ফড়িংটা তখনও উড়ছিল। বাতাস মনেই। আমি একটু আগেই ওকে ঘুড়ি ভেবেছিলাম। অবশ্য হেলিকপ্টার ভাবলেও খুব একটা ক্ষতি ছিল না। এসব পোকামাকড়দের ডিসিপ্লিনে সদ‍্য প্রেমিকাকে কামড়ে দিলেও রক্ত ঝরে না

আফটার অল্ আমরা যারা মুখ লুকানোর মতো জঙ্গল খুঁজি বা শরীর ভিজবে বলে জল। তাদের কখনো স্লোগান হতে নেই। রিপিটেশন্ ইজ্ আ তীব্র অসহ্য কনসেনট্রেশন ক‍্যাম্প। প‍্যান্ট ভিজবে জেনেও যেভাবে ডেসপারেট হয় তলপেট

সেইভাবেই মোবাইলটা প‍্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে উঠে গেলাম বাথরুমে। জানলা নেই। দরজা বন্ধ। আধোআধোআলোকালো। ঝাঁঝালো গন্ধ

এসব নাস্তিকের সংসারে ঈশ্বর কখনো আদল বদলায় না






(ছবিঃ মিরিয়াডনা গ্যালারি) 

আকাশপ্রদীপের মাসের কবিতা ৩


Image result for fog photography


দাঁড়ি টানা যাচ্ছে না 
         -সৌমনা দাশগুপ্ত 
                               


এই ছায়াকে তুমি আর ছুঁতে পারছ না। আর ফাঁকফোকর দিয়ে যেটুকু রোদ্দুর এই ঘরে এসে পড়ছে তাকেও বুজিয়ে না দেওয়া অব্দি তোমার আর স্বস্তি হচ্ছে না। কয়েকটা অব্যয় আর কিছু প্রশ্নচিহ্ন এইমাত্র ঢুকে পড়ল প্রচ্ছদে। হাড়গোড় ভাঙা এইসব শব্দ দিয়ে তুমি আর কীভাবে সমাস তৈরি করবে। শুধু ক্রিয়াপদে ভরে উঠছে এই গল্প। এত যে ভেজানো হল তোমার চায়ের কাপ শুধু কালো তরলে ভরে উঠল। গন্ধ বিষয়ক তোমার পুরনো উদ্বেগ আবার ফিরে এসেছে দেখ। এই দেয়ালে আর পলেস্তারা দিয়ে উঠতে পারবে না। শুধু অবান্তর দু একটা বট অশ্বত্থের গাছ ইটের হাঁমুখ বেয়ে উঠে দাঁড়াবে। উল্টোদিকে দৌড়ে চলা এই সময়কে তুমি কি কোনও জিন বা লাগাম পরিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে। কেবল সরলরেখা আঁকা হয়ে যাচ্ছে। আর কম্পাস ভেঙে দেওয়ার পর দিক সম্পর্কে তো আর কোনও দ্বিধাই থাকছে না




( ছবিঃ  প্যাট্রিক জেফায়ার ) 

আকাশপ্রদীপের মাসের কবিতা ৪

Related image

আলো বিষয়ক 
                 -নীলিমা দেব 


নদীটা দুলছে! ছায়া নিয়ে কাড়াকাড়ি করছে  জলের বেসিক। কৌটোর ভিতরে দহনের বর্ণমালা। কালো বাড়ি। সাদা-কালো ঘর। ঘরেরভিতর উল্টে যায় সূর্য। বেশরম পাখীরাও ! আলো ছিঁড়ে ছিঁড়ে বিছানায় পিকনিক .....


এই যে রং দিয়ে মেখে দিয়েছো সন্ধ্যার ওম
তাকে ম্যাচুউআর বললেই গোলাপি হয়ে উঠে চোখের ফিলিংস 
অদৃশ্য আঁকি
বেগুনী
টিপ থেকে গড়িয়ে পড়ছে  আষাঢ়
রিভার্স আলোর স্নান
এবারে আয়না ধরো ...


(ছবিঃ টোকামাচি) 

আকাশপ্রদীপের মাসের কবিতা ৫

Related image


বাদামওলা
           -পিয়াল রায়

ওকে তো দেখেছি
   কীভাবে সারাদিন চার্চে বসে বসে ঢুলত
কীভাবে সারারাত
      ওকে একটু একটু গিলে নিত
সন্তানের আগুনসুপ্ত মুখ
আর চারপাশ থেকে
     কীভাবে রগুড়ে বাতাস হেসে হেসে
গড়িয়ে পড়ত এ ওর গায়ে

ভেতরে ভেতরে সবার গল্পই এক
সাদাকালো আর কালোসাদা

এত এত নেই-এর মধ্যে শুধু
হাবুডুবু আর কান্নাকাটি
কান্নাকাটি আর বন্ধ হয়ে ওঠা
অথচ মুখেচোখে জল দেবে এমন কেউ নেই

কেউ নেই জীবনের ভিতর দিয়ে যাবে চৌষট্টি আদর

অনেকদিন পর আজ আবার
ভিজে যাচ্ছে বাদামওলা
বাদামের ঝুড়ি থেকে খসে পড়ছে জল

এসো, বাক্স বদল করে আনন্দ হয়ে উঠি আজ

(ছবিঃ জন স্যামসেন )

আকাশপ্রদীপের মাসের কবিতা ৬

Image result for river fog

ছা-বাল

             - সু চক্রবর্তী


আমাদের জমাজলে আনুগত্য
চোখ পাকায়

রন্ধ্রে পোড়া ঢিবি ; হা ইশ্বর

ন্যাংটোছাবাল

খাপ খোলে!

নুয়ে পড়া গন্ধে দেহ হয়
দেশকার টোড়ি
ললাটের বলিরেখার মতো

পড়ে রই

উই

নিরাশ্রয়হীনতার প্রগলম্বে

(ছবিঃ কেন লোরেন্টজেন) 

আকাশপ্রদীপের মাসের কবিতা ৭

Related image


 জনারণ্যে একা
                          -নিবেদিতা মজুমদার



"সত্যি চলে যাচ্ছি..."
শেষ কথা ছিল তোমার-

তারপর
কিঙ্কিণী শব্দের শব এ যাবৎ
ঢিল ছোড়া দূরত্ব পেরোতে পারেনি ;

অথচ পঞ্চমীর রোশনাই
মানুষের ঢল
জহুরী চোখের আলগোছ
পিছু ছাড়েনা প্রজন্মান্তরেও!-

স্তব্ধ হয়ে দেখি
আমিই এগিয়ে আসছি,
নিজের দিকে
মিশে যেতে এগিয়ে আসছি
আমিই...

ভীর ঠেলে পাশ কাটিয়ে
চলে যাওয়ারা
তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে
আমার পাথর খোদাই শরীরের দিকে চেয়ে

ছেনী  হাতুড়ী তোমার হাত থেকে
খসে পড়ে -

সে যাওয়ার বুঝি শেষ দিন হয়না

পাশে থাকবে বলেও
যে বার বার চলে যায়।

(ছবিঃলোরেঞ্জো মন্টেজোমোলো)

আকাশপ্রদীপের মাসের কবিতা ৮


Image result for fog bridge photography by dave allen

স্রোত
               -পাপড়ি গুহ নিয়োগী


--এভাবে যেও না পাপড়ি

 তুমি স্রোতের বিপরীতে হাঁটছো আরো সাবধানে!

 হাতটা দাও ? হঠাৎ মরা নদী জেগে উঠছে

--আরে, আমি নদী বলতে বুঝি ভালবাসা

--সাবধানে, চোরাবালি আছে, কথা শোনো...

--উফ, নদী জানে আমার আর ওর খুনসুটির কথা প্লিজ, একটু নিজের মত

   পায়ে পায়ে জল খেলতে দাও

--এতো বছরের বন্ধু, তবু তুমি বারণ শোন না।

   এবার বুঝবে ….

(ছবিঃ ডেভ অ্যালেন)

আকাশপ্রদীপের মাসের কবিতা ৯

Image result for fog tree photography by


কজ ওয়ে
                   -অ নু স ঞ্জ না ঘো ষ 

লিলিথ জানেই না কখন ভোর পাখি হয়ে উঠলো। আজানের সকাল যেন একমুঠো শিউলি। টুপ টাপ শ্রাবণ আর ভিজে যাওয়া পায়রার গান। সবটাই তুমি। ঢেউ এর ওপর ঢেউ তুলছে নদী। আমরা  অপেক্ষা করছি একটা বড় ঢেউ এসে আমাদের ভিজিয়ে দিয়ে যাবে। একটাও পাল তোলা নেই। বাতাসের কাজ এখন জলের সঙ্গে লুকোচুরি। বহুদূর পার করে শিকড় ছুঁয়েছে নদী। কে যেন বলেছিল বসন্ত আসবেনা একটাও। সেই থেকে শুরু হল পাতা ঝরার মরসুম, রং মাখা আগুন। প্রতিটা ঋতুই ফাগুনে মিশে গেল। এই বর্ষাতেও ভিজেছি পাশাপাশি কখনো ইউটার্ণে কখনো শুনশান গাছেদের ভিরে।

আমি 'তুমি' লিখে রাখি আমার সবটা অন্ধকার জুড়ে...




(ছবিঃ পিয়ের পেলেগ্রিনি)









আকাশপ্রদীপের মাসের কবিতা ১০

Image result for river fog

সমান্তরাল 
             -উমা মন্ডল

রক্ত  চোষা  বাদুরের  ডানার  ওপর
দেহটি  ঘুমিয়ে , সাদা  পোশাকের  মতো
রং  তুলে  নিয়ে  গেছে  বিধাতা  লেখনী ,
বৈধব্য  তারায়  গিলে  খায়  আকাশের  নীল  মেঘ।

কালবৈশাখীর অভিশাপ ?  তুলে  নেবে ঠোঁট  দিয়ে
কমন্ডুল  থেকে  ছুঁড়ে  দিয়েছিলো  আর্য,
ভাত  ছড়ানোর  মতো  করে  ;
খুঁটে  খেয়ে  নেয়  অনার্যের  পক্ষী-মাতা
সেই  থেকে  পিঠে  বয়  সিসিফাস -জ্বর, বৈশাখীর  কালাশৌচ ।

অ্যানিমিয়া  জীবাণুর  ঘর  ভালোবাসে
কালি  দিয়ে  দাগ  কাটে  সাদা  ক্ষেতে ,
বৈধব্য -পাতায় ।
জলা-শোক  খরা  দুঃখ  তৈরি  করে  কুমোরের
চাকা  দিয়ে , দেবী  জল  পাবে  না  ধর্মে  সইবে
কলসি  কাঁখে  সাদা  কাপড়ের  পুঁটলির পোড়াখই  ;

কন্যা  জল  তুলে  দেয়  দেবী-মুখে , পুরোহিত  ধর্ম
ভাসায়  গঙ্গার  সাদা  জলে .........

(ছবিঃ অ্যান্ড্রিউ উয়েইথ) 

আকাশপ্রদীপের মাসের কবিতা ১১

 Image result for fog tree photography by


তিতলি সভ্যতার কথা 
                            -রঙ্গন রায়

তিতলি একটি নদীর নাম। নদী একটি সভ্যতার নাম। আর একথাটা তো সবাই জানে যে সভ্যতার সৃষ্টি হয় নারী থেকে। অতএব এটা বলাই যায় যে তিতলি নদীর ধারে নদী নামে একটি সভ্যতা ছিল। তাতে বসবাস কারী প্রত্যেক নারীর নাম তিতলি। যেহেতু নদী একটি তিতলিমাতৃক সভ্যতা তাই সকল পুরুষ সেখানে প্রেমিক ছিল। প্রতিবছর তিতলির হাসিতে নদীর জমি উর্বর হত। চাষবাস ও ফলন  ভালো হত খুব। 
কিন্তু তিতলিরাও বৃদ্ধা হয়। তিতলির স্রোত হঠাৎ করে যেন হারিয়ে গেলো দূর বনতলে কোনো মরুভূমির ভেতর। প্রেমিকা না থাকলে প্রতিটি পুরুষের গভীর অসুখ হয়। নদী সভ্যতা যাযাবর হয়ে যায়। কত অজানাকে খুঁজে দেখার নেশায় তারা বেরিয়ে পরে পথে। হাঁটার সময় যত নদীই তারা দেখে সবার নাম দিয়ে বেরায় তিতলি। গোটা পৃথিবীর যতটা তারা হেঁটেছিলো সেসবই তিতলি সভ্যতা নামে পরিচিত হয়।
আর সেদিন থেকেই আজও প্রকৃত পুরুষেরা তিতলিকে খুঁজে বেরায়। তিতলি সমগ্র সভ্যতার নাম হলেও সেই যে তিতলি হারিয়ে গেছিলো প্রাগৈতিহাসিক যুগে , সেটা কে খুঁজে বের করবে? 
সন্ধান জারি আছে। সন্ধান সর্বদা জারি থাকে। আর তাই প্রতিটি পুরুষ এখনো প্রেমিক হয়ে উঠতে চায়। আর প্রতিটি নারী , তিতলি। 

(ছবিঃকীথ ডটসন)