দিনলিপি
-জয়শীলা গুহ বাগচী
কতদিন পর হাতে সাদা পাতা, খুলে যাওয়া আমৃত্যু মেঘ। অদম্য অক্ষরের পিছুটান, হাত... হাতের পাতায় পাখির স্রোত। এইসব হঠাত ঘটে। প্রতিদিন তো আলোচালের ভাঁজে ভাঁজে সত্যিই মোরগ ডাকে না। অথবা কোন এক সাদামাটা ডাল...ভাত... অমোঘ যুক্তির মতো প্রকান্ড লাফ হয় না। প্রতিদিনের লেখালেখিকে কেজো জামা পরতে দেখলে নিজেকে উপবাসী জীভ বলে ভাবি। অথচ নিজেকে লিখতে গিয়ে আমাকে ছিঁড়ে খায় পুড়তে থাকা মেয়ের দল, মাথা ফুঁড়ে উপছে পড়ে রক্ত-গন্ধ। মস্ত মস্ত দাঁত বসে যায় হাতের আঙুলে । কী লিখবো ভাবি , বিশ্বাস পুড়ে গেলে আত্মের কী থাকে? সেইসব গন্ডির? যা কিনা গড়া হয়েছিল কাঠামো রক্ষায়? তারা কি চেপে বসে? নাকি ধোঁয়ার বিশ্লেষণে হারিয়ে যায় রূপ অরূপ দুইই। ধোঁয়া ওড়ে, আত্মপোড়া ছাই আবার পোড়ে, পুড়তে পুড়তে শুদ্ধ, শুদ্ধতম কোনটাই হয় না। রাস্তার কোণে সামান্য ধূলো হয়ে উড়ে যায়। অনন্ত শূন্যতার মাঝে, অনন্ত জীবনের মাঝে রক্ত মুছতে মুছতে আমার আর লেখা হয় না। লেখার জন্য লেখা হয় না কিছুই।
(ছবিঃ পল ন্যাশ)
No comments:
Post a Comment