অবসিডিয়ঁ ছুরির সামনে
-প্রদীপ চক্রবর্তী
এক/
পাতার স্থপতি কাকতাড়ুয়া ...ইতিউতি ঝালর দোলাচ্ছে
ভুক করে ফাতনা ডোবে, উঠে আসে পাখির মিড়িক
বাইনোকুলার নিয়ে দূর ধূসর জলে একটাও নৌকো দেখা গেল না...
ঘর অন্ধকার। জানলা কেবল খোলা আর ব্যক্তিগত
হাওয়া যা শরীর শুধু সামান্য মেখে নেয়...
শব্দ বলতে---হলুদ ফড়িং
দুব্বো ঘাসের ওপর বসে থাকার...
পূর্বাঙ্গনা ঊষাটির লাল আঁচলের দিকে অপলক।
তাকিয়ে দেখি লাট খাচ্ছে আমার লেখার পাতা...
ভেবেছিলাম পেখম থেকে
একটা পালক সরিয়ে রেখে হারিয়ে যাব...
কিন্তু পাখি কই?
নিদ্রাতুর কোঠাবাড়ি ,রেওয়াজে বসেছে পাখির গহরজান
সে আর তোমাকে কোনও সুযোগ দেবে না...
কে তুমি? শুধুই শব্দ?...
নির্জ্ঞানে থিতিয়ে গোলকধাঁধায় দিকদিশাহীন
ঘুরতে ঘুরতে জেরবার
ভুক করে ফাৎনা ডোবে
দু জোড়া শরীর নিয়ে
ছোট পিঁপড়ে বড় পিঁপড়ে
চিনির দানা মনে করে ঠেলতে থাকে সব...
দুই/
এখন সব কিছুই খাঁচা। মিহি ভুলো জলছাপে জড়ানো ত্বকের আগ্রহ
ক্রমাগত কৃষ্ণচূড়ার গাঢ় রঙ আর কাঁটাতার আর অনিকেত কস্তূরী।
আর অকারণ খুঁজে ফেরা খসখসে কাগজ তুল্য তীব্র শরীর
নিমেষে নিমেষে চিড়। স্পর্শ অরাজকতা। যেন খোঁচা না লাগে...
মুহূর্ত লাগে...
কয়েকটা কদমা এবং পাঁপরভাজা। মুড়কি, মুড়ি, তিলেখাজা।
মেলার মাঠে নাগরদোলা ঘুরছে বনবন...
তার হাত...
আর বৃষ্টি এলেই এতটা স্বাভাবিক যতবার খোলাচুলে সে, ততবারই
হাতের সাহস ভেসে যায়।
কেবল একটা অন্যরকম দড়ি আমার...
কলসি আমার...
মরণ...
No comments:
Post a Comment