Wednesday 18 September 2013

আশ্বিনের কবিতা ১



আস্তাবল
-অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়

ছিল হিম্মতের পাশাপাশি। আর ছাদের চারদিকে জড়িয়ে আছে মানুষের মতামত।একটা বিকেল যেখানে শুরুর কথা বলতে চেয়েছিল সেখানে সন্ধ্যা এসে নেড়ে গেছে মাথা আর কিছুটা চোখের আড়াআড়ি।কান্নার সেদিন ঘরএ ফেরা হয় নি আর। দেখা হয় নি এই চেনা রাস্তাটার সাথে।আর গাছটা সারারাত কত কি লিখে রেখেছে নিজের খেয়ালে। উহ্‌ করলে পাশ ফিরে আরেকটা নাকের ব্যঞ্জন। আর চেনা হাত ঘিরে ধরছে সবটা দেওয়াল। রু তখনো আবজানো। আর অনবরত খোলার চেষ্টায় কিছু মানুষজন। একটু আকাশ আর তাকিয়ে থাকা ল্যাডার।

ফোন কলস্‌ এ কেটে যাচ্ছে এক্সরে। চিনেও সেইসব দেখা যাচ্ছে না ঠিকঠাক। আর এই যে রাজার তলব তাকে ভুলে থাকার দায় যে নিয়েছে সেই মানুষটাই এখন বাঁশি বাজাচ্ছে পুকুরের পারে। আর রাণীমা মনে মনে গেয়ে উঠলেন জানালায়।

আস্তাবলে গিন্তি হচ্ছে আমাদের বাচ্চাদের। আমাদের নারী পুরুষদের। কিছুতেই হিসেব মিলছে না। কিছুতেই আজ সারাদিন কিছুই মেলেনি জঙ্গলেও। যাকে খাতায় লেখা হয় আদমসুমারী। বড়বাবু অনেক চেষ্টা করে সাহেবকে মানিয়েছেন।কিন্তু আস্তাবলের খবরটা কিভাবে দেবেন রাজা কে।

পাশে বৌ বসে আছে  রু আবজানো নিয়েই। মেয়ে বসে আছে রুনি নিয়ে। আর একটা সাদা মেঘ বেরিয়ে আসছে রাজবাড়ি থেকে। কোথায় যাচ্ছে ? যদি বলি না যাচ্ছে না। ফিরে এসেছে আমাদের হিসেব।ডান বা সাজানোর রং...

এবার বড়বাবুর চোখে আনন্দের বৌ আর মেয়ে দৌড়ে যাচ্ছে মেঘ ধরতে। সাদা সাদা রু ধরতে।

1 comment: