খিদে উপাখ্যান
–উমা মন্ডল
চৈত্র এসে গেল
কোকিলন্ঠী বাতাস বয়ে যায় ,
উথলে ওঠা ভাতের ফ্যানের মতো দাবদাহের প্রকট
এখনও চোখে পড়েনি ,
উট দরজায় দাঁড়িয়ে
চৌষট্টি ছকের নদী ও পার্বত্য জীবন এগিয়ে যায় ।
রাস্তাও এগিয়ে চলে ধুলা তার যন্ত্রণা সকল নিয়ে ,
মধ্যবিন্দুতে বসে থাকা ভিখারীর সন্তান
লজেন্সের শুকিয়ে যাওয়া প্যাকেট নিয়ে সতর্ক করে !
দিনকাল ভালো নয়
পাপের ঘড়ার প্রায় জবুথবু অবস্থা ,
ঠাকুমার মুখে কবেই শুনেছিলাম চার – পো হতে বেশি দেরি নেই
তারপর অনেকগুলি অমাবস্যা ও পূর্ণিমার কোটাল এলো ভাটিয়ালী বুকে ,
খাদ ও শীর্ষদেশ একটু নড়েচড়ে উঠলো
তৃতীয় নয়নের স্রোত একবার জেগে উঠেই ঘুমিয়ে পড়লো ।
কালঘুমের অসুখ এভাবেই ছড়িয়ে পড়েছে
হৃৎস্পন্দন থেকে মেঝেতে ,
আজকাল কেউ লাল রং লাগায় না
সর্বত্রই মার্বেলের চকচকে উপস্থিতি ,
হেঁটে যাওয়া পিঁপড়েরা পিছলে যায় এই ধরাধামে
ওদের জীবন – পঞ্জিকা আর অনুসরণ করতে পারি না ।
তাই শালপাতা নিয়ে বসে থাকি শূন্যের পাশাপাশি
এক নিঃস্ব ভিখারী আমি ,
ঝুলি নিয়ে এসেছি উলঙ্গ পায়ে , এক মুঠো চাল দিও মাগো
অন্নপূর্ণার বাড়া ভাতে পাশাপাশি খেতে বসি
আমি আর ভিখারীর অষ্টম সন্তান .
(ছবিঃ শেইলা নীলে)
No comments:
Post a Comment