ব্যাধি
-শিবু মণ্ডল
গোপনে কেটে গেছে লোহা
চুরচুর লোহাতে
যন্ত্রের তবু বিষ নিয়ে কারবার
ক্ষত নিরাময়ে, মাত্রায় সাজিয়ে তোলা রূপ!
এ কৌশলরীতি, হাঁটাহাঁটি আদিকাল হতে
তুমি দিয়েছিলে। আমি গ্রহণে অক্ষম বলে
নীল হয়ে ওঠে কণ্ঠ
শূন্যের উপর শূন্য স্থির হয়ে দাঁড়ালেও
পূর্ণাঙ্গ অক্ষরেখাটি তবু অবিচল
শাসনের ইতিহাস ভুলে তবু রাজদণ্ড হাতে নিতে
গেলে এক এক করে শাটার পড়ে যাবে শহর জুড়ে।
সাদা রঙের দিস্তা দিস্তা পাখি কত উড়ে গেছে
সবুজ খেত ছেড়ে, হলহলে নদী ফেলে
আজ আমি যান্ত্রিক হয়েছি যন্ত্রের কাছে
আবহমান কৃষকের মত ক্ষুধা সইতে পারিনি বলে
মুষল পর্বের শুরুতেই নীল পাতা জুড়ে অক্ষর
মুষড়ে পড়ে। দেবনগরীতে আজ মহা উৎসব
নিজের পোষা পাখিটিকে নিজেই মেরেছে যে শবর
তার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে উদ্যত সব
পাতার পর পাতা উল্টে দেখি, পড়ার চেষ্টা করি
ব্যাধেরও তো ব্যাধি আছে! সেই বোধ থেকেই পাখিটি ফিরে আসে
ফিনিক্স হয়ে। আমরা তার আত্মা খুলে খুলে দেখি
নাও আজ বিশ্বযজ্ঞে উৎসর্গ করো পাখিকে
(ছবিঃ অশোক রেবাঙ্কর)
No comments:
Post a Comment