পাহাড়ের এই বাতিঘরে
-সৌমনা দাশগুপ্ত
ভেসে যাওয়া পাতাদের ছায়ার ভেতর থেকে আলোহীন মানুষেরা তোমাকে “উল্লাস” বলে স্বাগত জানাল। আর উচ্চকিত অন্ধকারে গলার স্বরের মতো ডেকে উঠল একদল নেকড়ে। রাসায়নিকের এই ঝাঁঝালো বাষ্প অব্দিই তোমার চোখ পৌঁছোতে পারছে। তারপর আর কোনও পাহাড়ই থাকছে না প্রচ্ছদে যার ওপর ঠেস দিয়ে তোমার সূর্যটাকে দাঁড় করিয়ে দিতে পার। গলে যাওয়ার পর শেষ বা শুরু বলে তো আর কিছুই নেই। ছায়া খুলে রেখে একা একাই চলে যাচ্ছে গল্প। মাংসের এই বাগানে তুমি আর ঢুকতেই পারছ না। জমাট পাথরের কুয়াশা কোনও যাদুদন্ড দিয়েই কেটে ফেলা যাবে না। আর আকার ভেঙে ফেলার পর রেখা এবং বিন্দু বিষয়ক কোনও অধ্যায়ের তো প্রশ্নই নেই। শুধু এবং শুধুমাত্র বাতাস আঁকড়ে ধরে তুমি পৌঁছে যাচ্ছ সেই চূড়ায়, যেখান থেকে নেমে এসেছিল এই গল্প
(ছবিঃ বার্কেহান বেন্ডিভার)
(ছবিঃ বার্কেহান বেন্ডিভার)
No comments:
Post a Comment