Saturday 25 May 2019

বৈশাখের কবিতা ৪


মৃত্যুভক্ষ্য রক্তিম আপেল  ...
                                -প্রদীপ চক্রবর্তী

এক /

পুরোনো অথবা পুরোনো নয়
স্বল্প পাখির দূর দিকচক্র | ততটা ক্ষিপ্র নয় দেহাতি ফকিরচাঁদ , করুণ ভাঁটির গঞ্জে |
যেন কুহকের জন্ম দেবে শহরের পথ ,
আসমানি রঙ ধুয়ে বৃষ্টির গোলকধাঁধা |
ঈষৎ সর্বস্বে সে - ই ফিরিয়ে আনে
অখিল যৌনভবনকে গর্ভ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে | হয়তো ভুল করেই গায়ে বসালো মধ্যস্থতাকারী প্রজাপতি |

পুরোনো ভাঙন অথবা পুরোনো নয়
নৈঃশব্দ্য - শৈলী বয়ে তোমার অবিকল
কলঙ্কভোগের রাসস্থ মন্ডল

কে পুরোনো ? কেনই বা সংশয় এই শব্দের
স্নায়ু  - কাঠ কুঁদে রচনা কাল ! তাদের কুঞ্জ নেই
প্রজাপতি নেই ,
পুরোনো প্রবাদের মতো প্রেমের দু - একটা বিকল্প হাইকু | নেই একটা আবর্ত | ক্ষুরধার রাস্তাটি কেবল জিভ দিয়ে চাটে ভুবনমনমোহিনী
স্নায়ুর বহুযুগ অপসারিত অধরা |
নদীর নতুন অশোকস্তম্ভ | সরল তরল আঁধার আলোর ছানারা , দূরে খেলাঘর দূরবাসের জলে দোল খাচ্ছে ফকিরা | হয়তো ভুল করেই গায়ে বসলো পৃথিবী নামক বাড়ি | পৃথিবী নামক চন্দ্রবিন্দু ...


দুই /

তুমি অথবা কারুকাঠ | দুজনের সৌন্দর্য্য মধ্যবয়সের এক পুরুষ | বিনির্মাণের রাস্তায় দাঁড়াও | একাকী দাহ্য কান্নাকুসুম | দশচক্রের
দেশগাঁয়ে পঞ্চমবর্জিত ধৈবতে বাজে এতো বৃষ্টির নীল তাঁত |

তার মসৃণ কলা , অমসৃণ রঙ ফুরাবে এতো স্বল্পবাসা কিশোরীর ঘুম - ফ্রকের বোতাম খোলা স্তনে | আতপ্তকাঞ্চনরঙা পৃথিবীর পারদ ও জল ভাসছে | শ্রমে ও মেধায় পৃথিবীর শেষ অতসী গাছের চেয়ে কিছু বড়ো নদী | অতিকায় ঘোড়াদের স্বতোৎসারিত ক্রম রেশমি কেশর থেকে কয়েকফোঁটা মুক্তো নিষিক্ত করে | সিক্ত সেলাই শেষে প্রান্তবাসিনীর নৈর্ব্যক্তিক আঁচল উড়িয়ে উন্মত্ত ঢেউ দুটো নিয়ে থিতোয় জিরোয় জান্তব প্রত্নছায়ার মতো আদিম ভূগৰ্ভলীন
মানুষ | মুনলাইট গ্রোভে আকরিক পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে যাই | চিহ্নহীন নখর দাঁত পিপাসা আর পুরুষাঙ্গ | তাদের স্বত্বাধিকারী আজো কেউ নেই | ব্যাঙের গা থেকে অল্প কিছুক্ষণ পাকের গন্ধ ভেসে আসে | মিলিয়ে যায় পৃথিবীর অনাবিষ্কৃত  প্রাথমিক তেলে ...

No comments:

Post a Comment