আষাঢ়, দমদম
-নীলাদ্রি বাগচী
১. ছাতাটা আস্তে আস্তে বন্ধ হচ্ছে আর রৌদ্র চড়ে যাচ্ছে দ্রুত। আসলে নতুন ছাতা ফলে ঠিক বাগেও আসে নি। রৌদ্র কিন্তু সাধারণ নিয়মে দখল করেছে চারপাশ। ভুলের অধিক ভুল ছাতার বিকল্প কিছু কখনো ভাবিনি। এখন দহন নিচ্ছি। স্নায়ুযুদ্ধ। মায়াবন বিহারিনী সঙ্কেতে নিরূপণ করে যাচ্ছি রোদের অধিক ক্রোধে। রৌদ্রজাত সুনিশ্চিত অসুস্থতার পটভূমি...
২. কড়িবরগার ছাদ অনেক উঁচুর থেকে নিরীক্ষণ করে যায় এইসব ঘুম। এইসব স্বপ্ন, রোদ, অযোগ্য উপাখ্যান পার করে হেলে যাওয়া ঈশ্বরের অনিচ্ছুক ছবি। সে দেখে রক্তপাত, চোট আঘাত, ক্ষতের লাবণ্য মেনে জমে ওঠা থকথকে পুঁজ এঘর ওঘর করে। লালা ওগড়ানো দিন দুপুরের ওইপারে চেতনের ঊর্ধ্বে ওঠে মূর্খ সাম্রাজ্য সুখ পায়। হাঁটু ভেঙে মিশে যায় সিঁড়ির অতলে.....
এরপর বৃষ্টি আসে হন্যমান মেধাকে যত্নে সরিয়ে দিয়ে দূরে...
৩. চিন্তা জড়িয়ে যায় কেননা দেয়াল হেলে আসে। কাঁঠালিচাঁপার গন্ধ অপরিচিতর চেয়ে অল্প বেশী পরিচিত। পক্ষপাত এ অবধি। চিন্তা তার অধিক বোঝে না।
সে বোঝে মরূর দেশে দূরবর্তী পাহাড়িয়া স্মৃতি ক্রমে ঝাপসা হয়ে যায়। বৃষ্টিহীন চরাচরে অনবরতর চাপে সুস্থিতি আসেনা কখনো। মেধা ক্ষয় হয, মেধা আয়ুর সীমিতে এসে ঠেকে...
দূরে হিন্দি গান বাজে.. সৃষ্টি স্থিতি তর্ক করে ... নিরূপণ অনির্দিষ্ট.. সঙ্কেত কটাক্ষ প্রমাণ...
৪. ভেঙে ফেলতে চাইলে আয়না বা সম্পর্ক এগুলো সহজে মনে আসে। এতবড় আমি এতটুকু আয়নায় সম্পূর্ণ এঁটে যাই বলে আমি সম্পর্ককে দেখি। দেখি বৃষ্টি ছাঁটে জানালা খানিক ভিজে গেছে। ভেজা গন্ধে বাতাস এঘর ওঘর পাক দিচ্ছে।
না পাওয়া কবিতার মতো দিন ফুরিয়ে চলেছে ক্যালেন্ডারে গুরুত্ব না দিয়ে...
ছবি ঃ গুলরেজ আলি
darunn
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteবহুদিন পর পর পড়লাম নীলাদ্রি দার লেখা। চেনা কলম প্রিয় কলম একটু হাল্কা চালে লুকোনো ক্ষোভ মিশিয়ে দিল নিজস্ব বৃষ্টিতে আরো একটু অপরিচিত ঢঙে
ReplyDelete