ঘড়ির নাম, ক্রৌঞ্চবক
-জ্যোতির্ময় মুখার্জি
এভাবে চেপে ধরবে, ঘাঁটলেই মাথা আমি পছন্দ করছি না। ঘাঁটলেই তুমি মাথা, অভিজ্ঞতা ভাবো
তুমি ভাঙতে পারো, একা আমি কাজ। এভাবে এতটুকুও চিড়ে ভিজবে না। ক্ষেত্র এসবে হাসিঠাট্টাই সম্বল
সম্ভব বললে আমি আলোচনার জঘন্য বুঝি। আমি হাঁটছিলাম। তুমি তাকিয়েছিলে। অসম্ভব বলতে, এইটুকুই এক আশ্চর্য স্পর্ধা
সহ্য করাটা আমি আর ছুঁতে চাইছি না। জাস্ট একটা সোফায় বসা বাঘ। সোহাগে শিকলে রাত। গোটা মুখে তুমি আর প্লিজ মিথ্যা বোলো না
আমাকে অন্তরাল পায়। মাঠে পা ঝুলিয়ে বিচরণ করছে সদ্য সাদা সম্মত। আমি তুলে রাখি। একে তুমি হাসিল ভাবছ ? বাধ্যতা কখনোই বিরক্তি করা নাগর নয়
তোমার সঙ্গে আমার কোনো সারাজীবন নেই। তবু একটা গোটা দিন ও রাত, সাঁতার, আসলে এক ডিঙ্গি নৌকা, যেখানে দুজনে উঠে বসলে অস্পৃশ্য খিলখিল পায়
আচ্ছা বলো তো, ধীর পায়ে হাঁটলে কি পা ঘন হয় ? অবাক, আসলে একটা থামার নাম। জাস্ট পজ্। নীচে দৃশ্য ক্রমে পরিস্কার হল। কাঁটারা ঘড়ি হচ্ছে। ঘড়ির নাম, ক্রৌঞ্চবক। রোদ লেগে ওতে জং ধরে আছে। জলের তো কোনো দোষ নেই
ধীরে ধীরে বুঝতে পারছি, মনে পড়লে, থাকাটার নামই জ্যামিতি। নদীর ধারে একটা বাড়ি করব। ঠিকানাটা মনগড়া, যেখানে জল বিক্রি হবে না
(বর্ণান্ধ শিল্পী আই.জোনাথন)
No comments:
Post a Comment