আবাহন
-অনিন্দিতা
গুপ্তরায়
প্রত্যহ মানে
তো একেকটা দিনযাপনের আলোকথা
ছিটকে ওঠা গোল
হোঁচট, পাথুরে
টপকে যেতে
ব্যথাময় আঙুলের নূব্জ্যতা
কিরকম কাঠিন্য
সরে যায় এইমাত্র নরমে
কতদিন পর পাশ
ফিরলো শ্রুতিগ্রাহ্য বিনিময়গুলি
ডানা ঝাপটানো
এঁকে নিতে প্রভূত আয়োজন
বিভাবরী হয়ে
ওঠা রাত্রি, পর্দার নড়ে ওঠা লক্ষ্য করে
কাঠামোয় মাটি আর
তুলকালাম নামছে কোমল নিষাদে
ডোবানো জিভ
ছেঁকে তুলছে স র গ ম এর স্পর্শস্বর
ক্ষতস্থান
ছুঁয়ে ফেলে মধ্যরাতের ট্রেন
দুই চোখের
মাঝামাঝি ফাঁকা
মানে ভ্রুমধ্য
কালপুরুষ সাজিয়ে
ফুরিয়ে আসা
সময়ের মুখোমুখি কেঁপে কেঁপে ওঠে
আবাহনে জৈব
মাটিরা বড়ো ম্লান, অপ্রতুল
এই আমি মস্তক
পাতি
তোমার তৃতীয়
চরণখানি রাখো