একটি বিভ্রান্তির কবিতা
-শতানীক রায়
এই পৃথিবী জন্মানোর ঠিক কতদিন পর আমি জন্মেছি
এরকম কথা মনে হতেই উঠে বসেছি।
অনেক রাত তখন।
কিছুদিন আগেই একজনের সঙ্গে কথা হচ্ছিল
গীতার বিশ্বরূপদর্শন যোগ নিয়ে
সেদিন কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম
তারপর বালির স্বপ্ন দেখি।
আওয়াজের শরীর দেখি
বালিহাঁসের ঘুরে বেড়ানো লম্বা উঠোন
লম্বা মানুষের গল্প
তারা কী করে উপন্যাস পড়তে পড়তে ভাসে
তাদের শরীরে কখন খাঁজ খাঁজ অন্ধকার জমে
উড়ে যায় হামাগুড়ি দিতে থাকি দেখি
ফুল ফলে মূল্য হারিয়ে ফেলেছি আমি,
আমার কোনো চিহ্নবাসনা নেই
চিকিৎসাও নেই
সবুজসাপ নেই
চাল-ডাল-শস্য-পৃথিবী রং কিছুই নেই।
হাওয়ার শরীর
হওয়া আছে
উড়তে দেখি
আবার বানরের ঘুম দেখি
থালা বাসনের গন্ধ ঠুকে ঠুকে কোনো গল্পহীন
ঐতিহ্যে ঢুকে পড়ি।
এরকম বারবার হয়
কারিগর আসে
কারিগর যায়
ভুলে যাই বদলে যেতে
কথা ভুলে যাই
আওয়াজ হারিয়ে ফেলি
একইসঙ্গে ঘৃণা ভালোবাসা পেয়ে বসে
আলো অন্ধকার
আকার নিরাকার পেয়ে বসে
জল পেয়ে বসে
পুকুরের গাছ পেয়ে বসে
সাপের চলন পেয়ে বসে
'খুব' শব্দটা পেয়ে বসে
ফিরে ফিরে আসে কিছু
ফিরে আসে শরীর
ফিরে আসে তারা খসা রাত
ফিরে আসে বিদেহী তান্ত্রিক
গভীর থেকে আরও গভীরে যাই
আমার জন্মানো কোনো এককের দিকে যায় কী,
কোনো শূন্য অগোচর
প্রাচীন মহাসাপের দিকে?
(ছবিঃ নিনা পলুনিনা)
অনবদ্য কাজ
ReplyDelete