Saturday, 29 November 2014

কালপুরুষের মাসের কবিতা ৩


অথচ
                   -অভ্রদীপ গোস্বামী


রূপ চলে গেছে গঠন তবুও সনাতন
পাপ ক্ষয়ে গেলেও অবিকল রয় গঠন

তুমি তো তরল স্বেদ অনাদায়ী দেনা
বহতা কংসাবতী জল কমছে না

অন্য কোন বন্ধ দরজার এক কোণে
রক্ষক তক্ষকের পৃথক জাল বোনে

বলা নেই কওয়া নেই তুমি তো দাঁড়ালে
রূপ হয়ে সনাতনি দুহাত বাড়ালে

সহজেই ধরা দেন যে সব জাতক
আমার কবিতার খুনি গুপ্তঘাতক
অলৌকিক

তারপর কাপ থেকে চা পড়ল মাটিতে
রক্ত হয়ে গড়গড়িয়ে চলে গেল

মেঝের ওপর ছাতু ওঠার মতো গজিয়ে
উঠছে ছোট বড় মাঝারি শিবের ঢেউ

পোয়াতী বৌ বৌদ্ধ গান গাইছে দশমাস
দশমিকের মতো ছোট হয়ে গেল ঝুড়ি

ময়লাফেলা মাসি দাঁতের মাড়িতে হাসি
ঝড়ের পথে এসে মিলিয়ে গেল

চায়ের কাপ থেকে চা পড়ছে মাটিতে
তোমরা দ্রৌপদী দেখলে দু:শাসন 
                                      দেখলে না

কালপুরুষের মাসের কবিতা ২


দীর্ঘ তু দীর্ঘ মি
-তন্ময় রায়

কপাল করে চুরি হই
ভিনমলাটে টাঙানো থাকার অপূর্বে
সবকিছু ছেড়ে শ্রাবণে আসি
সবই তো ছেড়ে রাখা
পুকুরপাড়ের গাছটাও
            তোমার ভাবে হয়ে আছে
জলবহরে বাড়তি নেশার ভালো রং
স্বপ্ন পেতে ধরি
দুহাত ভরা হাসিমুখ চাঁদ দিয়ে বাঁধানো হচ্ছে

কালপুরুষের মাসের কবিতা ১


বাজি 
                  -সঙ্ঘমিত্রা হালদার


দূর থেকে ভেসে আসা গানে হৃদয় বধ্যভূমি
এ তোলে ওর মুখ
সারাদিন বাঁধা গরু সে হৃদয়ে ঘাস খায়
শব্দে ফেনা তোলে

দূর থেকে ভেসে আসা গানে ও কার মুখ
পা টলে যায় আর দরোজা লক কর ভেতর থেকে 
যে আমি এখানে
যে আমি ওখানে
যে আমি ওধারে
যে আমি এধারে
কারা শনাক্ত করো কে, কাকে
হৃদয়ে পৌষমাস, হৃদয় খড়কুটো
কারা জ্বালো আতসে সে বাজি